ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘ঐতিহ্য রক্ষায় নদী দখলমুক্ত করতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫
‘ঐতিহ্য রক্ষায় নদী দখলমুক্ত করতে হবে’ ছবি : রাজীব/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্য রক্ষায় এবং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ঢাকা ও এর আশেপাশের নদীগুলোকে দখলমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকার স্থাপত্য বিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় সদরঘাটের বাদামতলীতে বিআইডব্লিউটিসির (অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন) ঘাটে রাজধানী ঢাকার চারপাশে প্রাচীন স্থাপত্য ও নদ-নদী পরিদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

ঢাকার স্থাপত্য বিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

উদ্বোধনের পর বাদামতলী ঘাট থেকে ওয়াটার বাসে এ পরিদর্শন কর্মসূচি শুরু হয়। অর্ধশতাধিক গবেষক, স্থপতি, শিল্পী, সংস্কৃতি ও পরিবেশকর্মী, সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দুপুর ২টা নাগাদ ওয়াটার বাসটি নারায়ণগঞ্জ নৌ-বন্দরে পৌঁছেছে।

বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদী এলাকা পরিদর্শন শেষে পুনরায় বাদামতলী ঘাটে শেষ হবে কর্মসূচি।

যাত্রা পথে ঢাকার প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপত্য পাগলাপুল ও মন্দির, ইদ্রাকপুর দুর্গ, হাজীগঞ্জ দুর্গ, মরিয়ম মাজার ও মসজিদ, সোনাকান্দা দুর্গ ও কদম রসুল দরগাহসহ নদী তীরবর্তী বিভিন্ন প্রাচীন স্থাপত্য সরেজমিন পরিদর্শন করছেন অংশগ্রহণকারী।

কর্মসূচির উদ্বোধক ও ঢাকার স্থাপত্য বিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক নদীর পরিচর্যা প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেন, আমাদের দেশে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নদী দখল করা হয়, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। নদী দখল করে ভবন গড়ে উঠেছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে নদী দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্য রক্ষায় ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ঢাকা ও এর আশেপাশের নদী গুলোকে দখলমুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়, তাদের এ উদ্যোগ শুধু প্রাচীন স্থাপত্য সন্ধানই নয়, জনসচেতনতাও বাড়াবে।

এসময় ঢাবি উপাচার্য নদীপথকে গতিশীল করতে সরকারের বাস্তবভিত্তিক কর্মকাণ্ডের দ্রুত বাস্তবায়ন দাবি করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি ড. আবু সাইদ এম আহমেদ, সাংবাদিক মুরশেদ আলী খান, অনুবাদক ও গবেষক মাওলানা মুহাম্মদ নুরুদ্দিন ফতেহপুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ফটোসাংবাদিক জয়িতা রায়।

রাজধানী ঢাকার প্রাচীন স্থাপত্য নিয়ে গ্রন্থ ও প্রতিবেদন তৈরি এবং প্রকাশের কাজ করছে স্থাপত্য বিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে প্রাচীন স্থাপত্য গ্রন্থনার কাজটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫
এইচআর/এইচএ

** ঢাকার প্রাচীন স্থাপত্য ও নদ-নদী পরিদর্শনে গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।