ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জলাবায়ু ফান্ডের অর্থ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাই বড় চ্যালেঞ্জ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
জলাবায়ু ফান্ডের অর্থ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাই বড় চ্যালেঞ্জ ছবি: রাজীব/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আসছে জলবায়ু সম্মেলনে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের কাঙ্ক্ষিত অর্থ জমার বিষয়ে ঐকমত্য হওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ঢাকা সফররত ফ্রান্সের  পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফাবিউস।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এক সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ কথা বলেন।

 

একদিনের সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ঢাকাস্থ ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ  ফ্রান্স ও জার্মান দূতাবাস এ যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।  

লঁরা ফাবিউস বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সহায়তায় গঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে ১০০ বিলিয়ন ডলার জমা হওয়ার কথা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত অর্থ জমা পারেনি। এই ফান্ডে কী পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে তারও হিসাব নেই। কীভাবে সে অর্থ আদায় হবে সে বিষয়ে এখনও একমত হওয়া যায়নি। ’

তিনি বলেন, ‘ফান্ডে উন্নত দেশগুলোর যে পরিমাণ ‍অর্থ দেওয়ার কথা তাও দিচ্ছে না তারা। তাই আসছে জলবায়ু সম্মেলনে এ বিষয়ে   ঐকমত্যে পৌঁছানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ’ এমন মন্তব্য করে লঁরা ফ্যাবিউস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সরাসরি দায়ী না হয়েও এর ক্ষতিকর দিকই বাংলাদেশকে ভোগ করতে হচ্ছে। ’

‘তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়,’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকায় ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাসের উদ্বোধন প্রসঙ্গে লঁরা ফাবিউস বলেন, পৃথিবীতে এটিই প্রথম ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাস। আশা করছি, এটি বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানি ও ফ্রান্সের দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক দৃঢ়তর করতে ভূমিকা রাখবে।

এটাকে তিন দেশের সহযোগিতার ‘নতুন প্রতীক’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, অর্থনৈতিক সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন খাতের সহযোগিতাকে বিবেচনায় নিয়ে ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশে যৌথভাবে দূতাবাস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী বাংলাদেশের মানুষের পপাশে থাকাতে চায় এ দুই দেশ। ’

দূতাবাস উদ্বোধনের পর জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।  

তিনি বলেন, ‘প্যারিসের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে মূল সমস্যার সমাধান করতে হবে। আনসছে প্যারিস জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন সে কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, যা কাজে লাগাতে হবে।

একই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশে ইউরোপের এই দুই দেশের যৌথ দূতাবাস ‘শান্তি, সহযোগিতা ও সংহতির’ মধ্য দিয়ে একসঙ্গে থাকার প্রতীক। ’

একদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

ঢাকাস্থ জার্মান ও ফ্রান্স দূতাবাস থেকে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় জার্মান অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্প দেখতে তাদের পটুয়াখালী যাওয়ার কথা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তা বাতিল হয়। পরে তারা সাভারের বংশী নদী ও এর পাশে বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ পরিচালিত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রকল্প ঘুরে দেখেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও তাদের সঙ্গী হন।

এর আগে সোমবার সকালে ঢাকা আসেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টেইনমেয়ার ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফাবিউস।

এ সফরে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ ফ্রান্সের আট কর্মকর্তা এবং জার্মানির ৩২ কর্মকর্তা বাংলাদেশে এসেছেন। সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন দুই দেশের ১৪ গণমাধ্যমকর্মীও।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
জেপি/জেডএফ/এমএ

** ঢাকায় ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাসের উদ্বোধন
** বংশী নদী পরিদর্শনে ফ্রান্স-জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।