ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নাটোরে প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ মামলায় ৪ জন কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
নাটোরে প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ মামলায় ৪ জন কারাগারে ছবি : প্রতীকী

নাটোর: নাটোরের সিংড়া উপজেলায় মানসিক ও বাকপ্রতিবন্ধী (২০) এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।



কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- জেলার সিংড়া উপজেলার ছাতারদীঘি হোসেনপুর গ্রামের চান প্রামাণিকের ছেলে সুইট ( ৩২), দেলবর হোসেনের ছেলে মুক্তার (৩০), আলীমুদ্দিনের ছেলে ফেরদৌস (২৬), জালালের ছেলে মজনু (৩৫)।

এছাড়া, মামলার অপর আসামি হোসেনপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে শান্তকে (১৭) কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ শিশু আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, বিকেলে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে নারীকে ধর্ষণের মামলার চার আসামি সুইট, মুক্তার, ফেরদৌস ও মজনু আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক রবিউল আলম আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই মামলায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক আসামি শান্তকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ শিশু আদালতে হাজির করে জামিন আবেদন করা হয়। নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ তার জামিন নামঞ্জুর করে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাই আসামি শান্তকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে যশোর কিশোর সংশোধনাগারের গেটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
 
ডিবির ওসি আব্দুল হাই বাংলানিউজকে জানান,  ওই  নারীকে গত ২৪ আগস্ট নওগাঁর প্রতিসর এলাকা থেকে নিয়ে এসে আসামিরা হোসেনপুর গ্রামের একটি ব্রিজের নিচে নিয়ে ধর্ষণ করে বিবস্ত্র অবস্থায় নদীতে ফেলে দেন। নদীপাড়ের রাহাতন বিবি নামে এক গৃহবধূ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করেন।
 
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে হোসেনপুর গ্রামে সালিশ বসে। কিন্তু ওই নারীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে, ১৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ১২ সেপ্টেম্বর ওই নারীকে সিংড়া-বগুড়া সড়কের একটি সেতুর কাছ থেকে উদ্ধার করে।
 
১৩ সেপ্টেম্বর সিংড়া থানার কালীগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে হোসেনপুর গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে মাহবুবুর রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মাহবুবুর রহমান এখনও পলাতক রয়েছেন।

এদিকে, ধর্ষিতাকে উদ্ধারকারী রাহাতন বিবির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষিতা নারীকে আদালতের নির্দেশে রাজশাহী সেফ হোমে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫  
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।