ঠাকুরগাঁও: আহত বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী মোবারক (৩৫) ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার দুইদিন পর তার মরদেহ ফেরত দিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
এর আগে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার চাঁপসা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত হন তিনি।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় চাঁপসা সীমান্ত দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, ২ বিজিবির সি কোম্পানি কমান্ডার আ. সালাম, হরিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান প্রধান, ভাতুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম প্রধান উপস্থিত ছিলেন। বিএসএফ এর পক্ষে ছিলেন, কমান্ডার ভিতাসে এইচ।
বিজিবি মরদেহ গ্রহণের পর হরিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
![](files/September2015/September22/BSF_BGB_Chapasha.02_357985153.jpg)
ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ হাসপাতলে ১০ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মারা যান তিনি। মোবারক ভাতুরিয়া ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অপর আহত গরু ব্যবসায়ী মইনুল (৩০) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান মরদেহ হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৯ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টার দিকে চাঁপসা সীমান্তের ৩৪৬ পিলার এলাকার ওপারে গরু আনতে যান মইনুল ও মোবারক নামে দুই বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী। এ সময় ২২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কামারহাট ক্যাম্পের জওয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তারা দু’জনই গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে মোবারককে আটক করে ভারতের রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে বিএসএফ। আর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মইনুল ওই দিনই পালিয়ে বাড়ি ফিরে এলে স্বজনরা তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মইনুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
আরএ