পার্বতীপুর (দিনাজপুর): সিডিউল বিপর্যয় এড়াতে ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী আন্তঃনগর একতা ও দ্রুতযান ট্রেন পার্বতীপুর পর্যন্ত চলাচল করছে। দিনাজপুরগামী যাত্রীদের জন্য ডেমু ট্রেন চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে একতা ও সকালে দ্রুতযান পার্বতীপুর পর্যন্ত এসে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ঈদের আগে পর্যন্ত এভাবেই ট্রেন দু’টি চলাচল করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
তবে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রেল কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তে ঈদে ঘরমুখো ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, আন্তঃনগর একতা ও দ্রুতযান ট্রেন দুটি ঢাকা-দিনাজপুর রুটে চলাচল করে থাকে। সোমবার রাত ৯টার দিকে আন্তঃনগর একতা ট্রেনটি পার্বতীপুর স্টেশনে এসে থামে।
এ সময় পার্বতীপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষণা দেয় আন্তঃনগর একতা দিনাজপুর যাবে না। দিনাজপুরের যাত্রীদের ট্রেন থেকে নেমে পাশের লাইনে দাঁড়ানো ডেমু ট্রেনে উঠতে বলা হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আন্তঃনগর দ্রুতযান ট্রেনটি পার্বতীপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্লাটফরমে এসে থামলে একই ঘোষণা দেওয়া হয়। অন্য কোনো উপায় না থাকায় নারী, শিশুসহ কয়েকশ যাত্রী মালপত্র নিয়ে দ্রুতযান ট্রেন থেকে নেমে বৃষ্টিতে ভিজে ৫ নম্বর প্লাটফরমে দাঁড়ানো ডেমু ট্রেনে গিয়ে ওঠে।
এ সময় দিনাজপুর ৫ নম্বর উপ-শহরের রোকেয়া বেগম, মিজানুর রহমান, মুন্সিপাড়ার মুকুল, ইয়াসমিন, রেশমাসহ অনেকেই রেল কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে বাংলানিউজকে জানান, তাদের সঙ্গে মালপত্রসহ অসুস্থ, বৃদ্ধ ও শিশুরা রয়েছেন। বৃষ্টিতে ভিজে মালপত্র টানাটানি করে এক ট্রেন থেকে আরেক ট্রেনে উঠতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
তারা আরও জানান, অনেক কষ্ট করে দিনাজপুর পর্যন্ত টিকেট কেটেছেন। অনেকেই প্রথম শ্রেণি ও চেয়ার কোচের যাত্রী ছিলেন। এখন তাদের সবাইকে গাদাগাদি করে দিনাজপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পার্বতীপুর স্টেশন মাস্টার জিয়াউল হক বাংলানিউজকে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ঢাকা-দিনাজপুরের মধ্যে চলাচলকারী আন্তঃনগর একতা ও দ্রুতযান ট্রেন দু’টি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত পার্বতীপুর থেকে চলাচল করবে। তবে, আন্তঃনগর একতা ও দ্রুতযান ট্রেনের যাত্রীদের পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর যাওয়া এবং আসার জন্য ডেমু ট্রেন রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
এমজেড