ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ময়মনসিংহের সড়কে সিসি ক্যামেরা

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
ময়মনসিংহের সড়কে সিসি ক্যামেরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ শহরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। শহরের গাঙ্গিনারপাড় মোড় থেকে স্টেশন রোড হয়ে ট্রাঙ্কপট্টি মোড় পর্যন্ত প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার সড়কে ৩২টি সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।



মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়।

এবার ঈদ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই এ উদ্যোগের সুফল ভোগ করবেন বলে মনে করেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম।

স্থানীয় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা সব সময়েই এই প্রযুক্তির সুফল পাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদ কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে শহরের ১০টি পয়েন্টে থাকবে পুলিশি চেকপোস্ট। প্রতি চেকপোস্টে একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে থাকবেন ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্য। আর বিভিন্ন শপিং মল ও বিপণি বিতান এলাকায় থাকবে পুলিশের আরও বেশ কয়েকটি টিম। সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরাও থাকবেন।

পুলিশ জানায়, শহরের প্রাণকেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ গাঙ্গিনারপাড়, সি কে ঘোষ রোড, স্টেশন রোড ও ট্রাঙ্কপট্টি এলাকায় রয়েছে বিভিন্ন শপিং মল ও বিপণি বিতান। সব সময় এসব পয়েন্টে ভিড় লেগে থাকেই। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিপণি বিতানে আসা নারী ক্রেতাদের ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে টাকা ও মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ সংঘটিত করেও অপরাধীরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।

এ অবস্থায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হকের নির্দেশে এসব এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সোমবার রাতে শহরের ১ নং পুলিশ ফাঁড়িতে মতবিনিময় সভা করে জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল এসপি) হারুন অর রশিদ এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।

মতবিনিময় সভায় এসব এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধী শনাক্ত করতে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার সড়কে ৩২ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এসব ক্যামেরা স্থাপনে খরচ পড়বে প্রায় ৫ লাখ টাকা। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুলিশ মিলে এ খরচ বহন করবে, জানান সংশ্লিষ্ট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম।
OC_mymensingh
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীরা অপরাধের ধরনও পাল্টাচ্ছে জানিয়ে পর পর ৩ বার ময়মনসিংহের শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) নির্বাচিত হওয়া কামরুল ইসলাম বলেন, অপরাধ দমন ও জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করাই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য।

গুরুত্বপূর্ণ এসব পয়েন্ট বুধবার থেকেই সিসি ক্যামেরার আওতায় এলে কোনো সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, চোর, ছিনতাইকারীরা অপরাধ করার সাহস পাবে না। দু’দিনের মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন শেষ হলেই এর মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু হবে।

অপরাধ দমনে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এ ক্যামেরা। কোন অপরাধ সংঘটিত হলেই সরাসরি ধারণ করা ফুটেজ থেকে দ্রুত অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হবে, বলেন ওসি কামরুল ইসলাম।  

তিনি জানান, কোরবানির বড় দু’পশুর হাট পার্ক এলাকা ও শম্ভুগঞ্জে ছিনতাই, পকেটমার ও চাঁদাবাজি বন্ধে দু’স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। হাটের ভেতরে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা ও হাটের বাইরে পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা দেবেন।

অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বন্ধে গরু বেপারীদের অপরিচিত কারো কাছ থেকে কোন খাবার না খাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। একই সঙ্গে শহরবাসীর ঈদ আনন্দে যাতে কোন প্রকার ভাটা না পড়ে সেই লক্ষ্যে গোটা শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেয়ার কথাও জানান ওসি কামরুল।

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।