ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

চারঘাটে মামাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে যুবকের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
চারঘাটে মামাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে যুবকের মৃত্যু

রাজশাহী: মামাতো ভাইকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে অপর মামাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে মারা গেছেন জিয়াউল হক জিয়া (৩৮)।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের জাগীরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ মারামারির ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়া মারা যান।

নিহত জিয়া উপজেলার জাগীরপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় নিহত জিয়ার ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম মনি বাদী হয়ে মামাতো ভাই রবিউলকে প্রধান আসামি করে চারঘাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতাররা হলেন- নিহত জিয়ার মামাতো ভাই ইসলামের স্ত্রী লালভানু বেগম (৩৫) ও তছলিমের স্ত্রী চায়না বেগম (৩৪)।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, জাগীরপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেনের দুই ছেলে রবিউল ইসলাম ও ভোলার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ দিন আগে রবিউল ইসলাম তার ভাই ভোলাকে নিজ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে ভোলা স্ত্রী সন্তান নিয়ে ফুপাতো ভাই জিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন। আর এতেই দেখা দেয় বিপত্তি। ভোলাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে জিয়াকে প্রতিনিয়তই হুমকি দিয়ে আসছিলেন রবিউল ও তার দুই সৎ ভাই তছলিম ও ইসলাম আলী।

সোমবার সন্ধ্যার দিকে প্রতিপক্ষ রবিউল ইসলাম, তছলিম আলী ও ইসলাম আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন জিয়ার বাড়ির সামনে গিয়ে জিয়াকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজসহ ভোলাকে তাদের হাতে তুলে দিতে হুমকি দেয়। এ নিয়ে রবিউল ইসলামের সঙ্গে জিয়ার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে রবিউলসহ প্রতিপক্ষরা লোহার রড, বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করতে থাকে।

এসময় জিয়ার বাবা ইউসুফ আলী, মা মুঞ্জেরা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। এতে জিয়াসহ তার বাবা ইউসুফ আলী (৬৫), মা মুঞ্জেরা বেগম (৬০), স্ত্রী পারুল বেগম (২৮), ভাই মুঞ্জু (৩৫), মনিসহ (৩০) ৮ জন আহত হন।

ওসি আলমগীর হোসেন আরও জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িছাড়া।

তবে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রতিপক্ষ তছলিমের স্ত্রী চায়না ও ইসলামের স্ত্রী লালভানুকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।