ঢাকা: সিমের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গ্রাহকদের এসএমএস পাঠাবে মোবাইল ফোন অপারেটররা। এ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে।
২০১২ সালের আগে যেসব সিমের নিবন্ধন হয়েছে, মূলত সেগুলো যাচাই-বাছাই করতেই এসএমএসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সিমের একাধিক ব্যবহারকারী বা একাধিক নিবন্ধন রয়েছে কিনা- সেসব তথ্যও বের হয়ে আসবে এ পদ্ধতিতে।
এসব তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মোবাইল ফোন অপারেটর ও এনআইডি প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভাশেষে এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, কেউ ফেক আইডি থেকে হাজার হাজার সিম নিবন্ধন করেছেন। আবার কারও আইডি ঠিক আছে, কিন্তু অস্বাভাবিক সংখ্যায় সিম নিবন্ধন করেছেন। এসব ভয়াবহ পরিস্থিতির ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৫ অক্টোবর থেকে এসএমএস পাবেন গ্রাহকরা। ২০১২ সালের আগে যেসব সিমের নিবন্ধন হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া, মোবাইল অপারেটররা সেসব গ্রাহককে এসএমএস পাঠাবেন। আইডি নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে চাইবেন। একটি কোড থাকবে। গ্রাহকদের দেওয়া তথ্য অপারেটররা পাঠাবেন এনআইডিতে। সেখানে হবে যাচাই-বাছাই, এরপর চূড়ান্ত নিবন্ধন।
‘আরেকটি পদ্ধতিও থাকবে। একটি কোডসহ অন্য এসএমএসে যেকোনো সময়ের গ্রাহকই চাইলে নিজের সিমের তথ্য যাচাই করে নিতে পারবেন। তার সিমটি আর কোথাও কেউ নিবন্ধন করেছে কিনা সেটিও নিজের নিরাপত্তার জন্য জেনে নেওয়া যাবে’- বলেন প্রতিমন্ত্রী তারানা।
তিনি বলেন, আমরা একটি কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছি। যাতে জনগণ এ রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখে। তাদের এ স্বস্তি যেন দিতে পারি যে, তারা ঠিকভাবে সিমটি ব্যবহার করছেন। কারণ যে চিত্র আমরা পেয়েছি, তাতে সবাই উদ্বিগ্ন। ভয়াবহ চিত্র শঙ্কিত করেছে। হয়তো চিত্র আরও ভয়াবহ হবে, যাচাই বাছাই শুরু হলে, কিন্তু কাজ চলবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাদের রেজিস্ট্রেশন ঠিক আছে, তাদের ইনভল্ভ করছি না। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন একটি অবৈধ সিমের জন্যও ভোগান্তিতে না পড়েন, সেটিই আমাদের উদ্দেশ্য।
এ সময় মোবাইল অপারেটর প্রতিনিধি, এনআইডি প্রতিনিধি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
এসকেএস/এএ
** ১৪ হাজার সিমের মালিক একজন!