ঢাকা: মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনে পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি (আঙুলের ছাপ) চালু হচ্ছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটররা নিজেদের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে এ পদ্ধতি চালু করবে।
তথ্যগুলো জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভা শেষে তিনি এসব তথ্য জানান। মোবাইল অপারেটর, এনআইডি প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভাটি করেন তিনি।
তারানা হালিম বলেন, অপারেটররা তাদের কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে ১ নভেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি চালু করবেন পরীক্ষামূলকভাবে। সচেতন গ্রাহকরা নিজ উদ্যোগে এখানে এসে নিজ নিজ সিমের নিবন্ধন করতে পারবেন। তথ্যগুলোও যাচাই-বাছাই করতে পারবেন।
‘এছাড়া চূড়ান্ত ও বাধ্যতামূলকভাবে বায়োমেট্রিক্স কার্যক্রম শুরু হবে ১৬ ডিসেম্বর থেকে’- বলেন তিনি।
তারানা বলেন, ১ নভেম্বর থেকে সচেতন গ্রাহকরা নিজে থেকে সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে সিমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন।
তিনি জানান, চূড়ান্তভাবে এ পদ্ধতি শুরু হলে প্রাধাণ্য পাবে ফেক আইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনকারীরা এবং সঠিক এনআইডির বিপরীতে অস্বাভাবিকভাবে সিম নিবন্ধনকারীরা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভাবে আশা করি, নিশ্চিত হতে পারবো সিমগুলো সঠিক মালিকই ব্যবহার করছেন। এ সম্পর্কিত তথ্যগুলো এনআইডি, মোবাইল অপারেটর ও কিছু ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, সামনে আরও কর্মযজ্ঞ হাতে নেবো। মানুষকে সচেতন করবো। অসচেতনতার দায়ভার নিয়ে চললে চলবে না। ব্লেইম গেম আর নয়। ডিসেম্বরের মধ্যে সবাইকে নিজের নিরাপত্তায় নিশ্চিন্ত হতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন- এমন করেই প্রচারণা চালানো হবে। তারপরও না করলে শেষ পর্যায় পর্যন্ত সুযোগ দিতে চাই।
অপর প্রশ্নের জবাবে বলেন, বৈধভাবৈই অনেকে একাধিক সিম রাখেন, তাদেরও সুযোগ দিতে চাই। এরপরও না হলে বাধ্য হয়ে অকার্যকর করে দেওয়া হবে সিম।
তিনি বলেন, এখন অনেক লোকবল দিয়েও যদি অপারেটররা কাজ সারতে চান, তাহলে তাদের সময়তো দিতে হবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কাজ থেমে নেই। প্রতিদিন কাজ এগিয়ে চলেছে।
প্রশ্নের জবাবে তারানা বলেন, আমরা কোনো অনির্দিষ্ট সময় বেঁধে কাজ করতে চাই না। তাই ১৬ ডিসেম্বরে বায়োমেট্রিক্স চালুর সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির পরে যাচাই-বাছাই হয়ে যাবে। তখন একটি সিমও কেন ফেক থাকবে, কার্যকর থাকবে নিবন্ধন ছাড়া? যদি থাকে জবাবদিহিতা থাকবে।
তিনি বলেন, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন একটি অবৈধ সিমের জন্যও ভোগান্তিতে না পড়েন, তাই এ উদ্যোগ। গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতেই এটি।
তবে বৈধভাবে কয়টি পর্যন্ত সিম রাখতে পারবেন একজন গ্রাহক, সে ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগে দেখতে চাই, চাহিদা কতোটা। কর্পোরেট প্রয়োজনীয়তায় অনেক সময় একাধিক সিম রাখেন কেউ কেউ। কিন্তু ৬ হাজারতো কোনোভাবেই থাকতে পারে না।
প্রশ্নের জবাবে বলেন, এক এনআইডি ব্যবহার করে এতো সিম কীভাবে হল, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
এ সময় মোবাইল অপারেটর প্রতিনিধি, এনআইডি প্রতিনিধি ছাড়াও মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
এসকেএস/এএসআর
** এসএমএসে সিমের তথ্য যাচাই শুরু ১৫ অক্টোবর
** ১৪ হাজার সিমের মালিক একজন!