ফরিদপুর: ফরিদপুরে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে একই পরিবারের চার জনসহ মোট সাত গরু ব্যবসায়ীর তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা খোয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পরে টহল পুলিশ ও স্থানীয়রা সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাট গোবিন্দপুর গ্রামের রাধাবল্লভ (৫২), তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে নারায়ণ (১৮), জামাই গজারিয়ার দীনেশ (৩০) ও তার শ্যালক নিখিল চন্দ্র, ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামের হান্নান কাজী (৩৮), নাসির মাতুব্বর (৩৫) এবং আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবককে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপুল কুমার দে জানান, ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গরুর হাটে গরু বিক্রি শেষে রাতে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রাধাবল্লভ, নারায়ণ, দীনেশ ও নিখিল। ফরিদপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকায় পৌঁছে শসা কিনে খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। পরে টহল পুলিশের একটি দল তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
অন্যদিকে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে গরু ব্যবসায়ী হান্নান কাজী ও নাসির মাতব্বরের তিন লাখ টাকা খোয়া গেছে।
তাদের আত্মীয় বেলায়েত মল্লিক জানান, হান্নান ও নাসির মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে টেপাখোলা গরুর হাটে যান। বাসে যাওয়ার পথে ভাঙ্গা এলাকার কাছে শসা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তারা। বাসের স্টাফরা ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে রেখে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গনপতি বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার রাতে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই যুবক গরু ব্যবসায়ী।
ফরিদপুর থেকে নগরকান্দা যাওয়ার পথে তিনি অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা, যোগ করেন গণপতি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এটি/এএসআর