গাবতলী হাট ঘুরে: সপ্তাহখানেক ধরে ক্রেতারা বিভিন্ন হাটে ঘুরে ঘুরে কোরবানির পশু দেখেছেন, যাচাই করেছেন দাম-দর। এখন পছন্দসই গরু বা খাসিটি কেনার পালা।
মিরপুর পীরেরবাগের আলহাজ সদর উদ্দিন ৪৫ হাজার টাকায় কোরবানির গরু কিনেছেন। চলতি পথে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবার গরুর দাম গেল বারের থেকে একটু বেশি। তবে যাই হোক আল্লাহর নামে কিনলাম!
কোরবানির হাট ঘুরে দেখা গেছে বরাবরের মতো এবারও মাঝারি ও ছোট আকৃতির দেশি গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। ৪৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের গরু বেশি বেচাকেনা হচ্ছে।
![](files/September2015/September23/cattle_hat_ML1_442478021.jpg)
কুষ্টিয়ার রইস উদ্দিন বেপারী ২২টি ছোট গরু নিয়ে গাবতলী হাটে আসেন। প্রথম কয়েকদিনে একটি গরু বিক্রি না হলেও মঙ্গলবারে বিক্রি করেছেন ৭টি গরু।
রইস বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, দুই দিন শুধু মাছি খেদাইচি, আর বৃষ্টিতে ভিজচি। আল্লাহ দিলে আজকা (মঙ্গলবার) ৭ খান গরু ঝাড়চি (বিক্রি করা)।
তবে হাট ঘুরে দেখা যায় বড় গরুর চাহিদা কম। পাবনার বেড়া উপজেলার মজনু বেপারী ২৪টি বড় আকৃতির গরু হাটে এনেছেন। প্রতিটি গরুর গড় মূল্য ৫ থেকে ৬ লাখ হাঁকছেন মজনু। তবে এখনও পযর্ন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারেনি তিনি।
মজনু বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, ২৪ খান গরুর মধ্যে একখানও বিক্রি করতে পারিনি। দুইডি একডি হইলে তো হতো।
হাটঘুরে এবারও ক্রেতা-বিক্রেতাদের রেষারেষির পুরণো চিত্র দেখা গেল। ক্রেতাদের দাবি গরুর দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে। অপরদিকে বিক্রেতাদের দাবি গরুর দাম অনেক কম বলছেন ক্রেতারা।
![](files/September2015/September23/cattle_hat_ML2_105326013.jpg)
ধানমন্ডি জিগাতলার ক্রেতা কবির হোসেন বলেন, গতবারের থেকে এবার প্রতিটি মাঝারি গরুতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত দাম হাঁকছেন বিক্রেতা। বাজারে আসলাম দেখি যাচাই-বাছাই করে কি করা যায়।
তবে বেপারিদের দাবি ক্রেতারা গরুর দাম এবার অনেক কম বলছে।
কুষ্টিয়ার শুকচান বেপারী বলেন, যে গরুর দাম একশ (এক লাখ) তার দাম কয় ৬০ (৬০ হাজার)। এই গরু ইচ্ছা করলি আমার কুইষ্টির (কুষ্টিয়া) বাজারে ৮০ তে (৮০ হাজার) বিক্রি করতে পারতাম। তবে দেখা যাক খদ্দির আইজকি নাইমিচে বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
এমআইএস/এমজেএফ/