রাজধানীর পশুর হাট ঘুরে: রাজধানীর মোহাম্মদপুর জাপান গার্ডেন সিটি এলাকা থেকে গাবতলী পশুর হাটে গরু কিনতে এসেছেন আরিফ জামান। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বড় ছেলে রাফি বিন জামানকে।
গামবুট পরে হাটে আসা প্রসঙ্গে রাফি বিন জামান বাংলানিউজকে বলেন, হাটের যে অবস্থা তাতে নিজেকে কাদা-পানি থেকে রক্ষা করতে এছাড়া কোনো উপায় নেই।
বুধবারও (২৩ সেপ্টেম্বর) বার দুয়েক বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও কোরবানির পশু।
![](files/September2015/September23/2_691254189.jpg)
হাটের প্রায় সব স্থানেই হাঁটু কাদা। এছাড়া বৃষ্টির পানি জমে আছে সর্বত্রই। গাবতলী হাটের সড়কগুলোতে পায়ে হেঁটে চলাফেরা করা মুশকিল। এছাড়া সামান্য বৃষ্টির পানি হলে নিরাপদে দাঁড়ানোর কোনো ব্যবস্থাও নেই এখানে।
হাজী আমিনুল ইসলাম (৫৫) মিরপুর-১ নম্বর থেকে কোরবানির পশু কিনতে এসেছেন গাবতলীতে। কিন্তু হাটের পরিস্থিতি দেখে অতিষ্ট তিনি।
আমিনুল বলেন, হাটে পায়ে হাঁটার কোনো উপায় নেই। চারিদিকে খিচ (কর্দমাক্ত) পানি। বৃষ্টি আসলে যে কোথাও দাঁড়াব সেই অবস্থাও নেই।
শুধু মানুষ নয়, চরম দুর্ভোগে পড়েছে অবলা পশুগুলোও। কোরবানির পশু পানিতে ভিজলেও খাবার পানির সংকট তৈরি হয়েছে। প্রতি বালতি পানি ১০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে বেপারিদের। সেটারও সংকট হাটে।
![](files/September2015/September23/3_617196788.jpg)
কুষ্টিয়া দৌলতপুরের হাশেম বেপারি বলেন, গরু পানিতে ভিজিছে তো, খাবার পানি নাই, ক্যাবা লাগে (কেমন) কনতো?
পানিতে ভেজার কারণে অনেক গরু কাবু হয়ে গেছে। এছাড়া কাদার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে গরুর পায়েও সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
কাদা-পানিতে একাকার অবস্থা রাজধানীর অন্য পশুর হাটগুলোরও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৃষ্টিতে ভিজে, কাদায় দাঁড়িয়ে ও শুয়ে থাকতে থাকতে পশুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
পাবনার বেড়া উপজেলার গরু বিক্রেতা জয়নাল বলেন, আমার অনেক শখের গরু। এদের মানুষের মতো পালা লাগিচে। কোনো দিন বৃষ্টিতে গরু ভিজেনি। বড় আদরের গরু আমার। হাটে আইসে বৃষ্টিতে ভিজে গরু কাবু হইয়া গ্যাছে। কাদা পানিতি গরুর পায়ে মনে হয় ঘাঁ হইচে।
![](files/September2015/September23/4_366622777.jpg)
এছাড়া উত্তরা ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁ জনপদ অস্থায়ী পশুর হাটসহ অন্যান্য হাটেও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এদের সঙ্গে কোরবানির পশুর দুর্ভোগও চরমে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এমআইএস/আরএম