ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গাংনীতে হত্যা মামলায় ১ ব্যক্তির যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
গাংনীতে হত্যা মামলায় ১ ব্যক্তির যাবজ্জীবন প্রতীকী

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল মাহমুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি বোমারু জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৪২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর ক‍ারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা অন্য মামলায় তাকে আরো তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।



বুধবার (২৩ সেপ্টম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার সময় জনাকীর্ণ আদালতে এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রবিউল হাসান।

একই মামলায় অন্য ছয় আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের  বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার সময় গাংনী উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল মাহমুদ বামুন্দী বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় একদল সন্ত্রাসী কাজলকে লক্ষ্য করে কয়েক দফা বোমা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে।

এ ঘটনায় পরের দিন ২৬ ডিসেম্বর গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা ও অপরটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। যার এসডিসি মামলা নম্বর ২৬/২০০৬ এবং ৬৮/০৭।

এ ঘটনায় পরের বছর ২০০৬ সালের ২৯ মে গাংনী উপজেলার ভরাট গ্রামের কাবাতুল্লাহর ছেলে বোমারু জাহাঙ্গীর হোসেনকে গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আহত অবস্থায় আটক করে। পরে মেহেরপুর আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট গুল্লাল শিং এর আদালতে হাজির করলে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ তদন্তের পর আদালতে মামলার চার্জশিট দেন। দীর্ঘদিন মামলাটি চলার পর সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক এ চাঞ্চল্যকর মামলাটির প্রধান আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানার রায় দেন।

দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি মটমুড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য মাজহারুল ইসলাম, বালিয়াঘাট গ্রামের আরজ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মটমুড়া গ্রামের মোস্তফা, ছাতিয়ান গ্রামের মিনারুল ইসলাম, ঝোড়াঘাট গ্রামের আব্দুল লতিফ ও লালন হোসেনকে বেকসুর খালাস দেন। এ সময় লালন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া একই মামলার অন্যা আসামি নাজমুল হক, মহির উদ্দীন মারা যাওয়ায় তাদেরও এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বেলাল হোসেন মারা যাওয়ায় তিনিও অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলায় সরকারিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্জ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রমজান আলী। তার সহাকারী ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম।

সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত কাজল মটমুড়া গ্রামের মনিমুল ইসলামের ছেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।