ঠাকুরগাঁও: আশ্বিন মাসে বৃষ্টি তো হতেই পারে। তাই বলে কোরবানির গরু কেনা বন্ধ থাকবে, তা তো হতে পারে না।
গত তিনদিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে। ফলে, গরুর হাটগুলোতে পানি জমে হাঁটু-কাদার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার যাদুরানীর গরুরহাটে হাঁটু-কাদার মধ্যে গরু কিনতে দেখা যায় নগরবাসীকে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত যাদুরানীর হাট এ অঞ্চলের বড় হাটগুলোর অন্যতম। এ হাটে বিক্রি করতে আসা অধিকাংশ গরুই গৃহপালিত।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ভারতীয় গরু কম আসায় দেশি গরুর দাম বেশি। হাটে ষাঁড়ের দাম সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ধনী-গরিব সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী গরু পাওয়া যায় এই হাটে। শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার অতিক্রম করে অনেকেই এখানে এসেছেন গরু কিনতে।
![](files/September2015/September23/thakurgaon_hut_1_953795511.jpg)
গরুর বেপারীরা বলছেন, ঠাকুরগাঁওয়ে গরুর দাম হয় সর্বোচ্চ ৭০/৮০ হাজার টাকা। ঠাকুরগাঁওয়ের কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসলেও স্থানীয় হাটে তা বিক্রি হয় না। সবই রাজধানীর উদ্দেশে চলে যায়। স্থানীয় কৃষকরাই নিজের পোষা গরু হাটে বিক্রি করেন। এ কারণেই দামও কিছুটা বেশি।
ঠাকুরগাঁও থেকে যাদুরানী বাজারে গরু কিনতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, এ বছর প্রায় সবগুলো গরুর হাটেরই একই অবস্থা। কিন্তু গরু তো কিনতেই হবে। তাই, কাদার মধ্যে নেমেই গরু কিনতে হলো।
যাদুরানী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হাঁটু কাদার কারণে শহর থেকে আসা ক্রেতারা জুতা খুলে ব্যাগে ভরে হাটে প্রবেশ করছেন। আবার অনেকেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন হাটে প্রবেশের জন্য। অনেকে হাটে এসে নিজের পরিধেয় পোশাকও কাদায় একাকার করে ফেলছেন। তারপরও গরু কেনার আগ্রহের ঘাটতি নেই কারো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এবি