ঢাকা: পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে করে জালনোটের ফাঁদে না পড়েন সেজন্য হাটগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে জালনোট শনাক্তকরণ বুথ। আর এ বুথগুলোতে রাখা হয়েছে একাধিক যন্ত্র।
রাজধানীর অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে একাধিক জালনোট শনাক্তকরণ বুথ।
রাজধানীর সকল পশুর হাটে ২৪ ঘণ্টাই বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে এ সুবিধা। এর সঙ্গে হাটগুলোতে চালানো হচ্ছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা।
রাজধানীর গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ কন্ট্রোল রুমে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূরক নাটিকা, বিজ্ঞাপন ও পুঁথি গানের মাধ্যমে চলছে সচেতনতামূলক প্রচারণা। এ কারণে হাটগুলোতে এবার ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই জালনোটের বিষয়ে রয়েছেন যথেষ্ট সচেতন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার কেউই যাতে জালনোটের ফাঁদে না পড়েন, সেজন্য ডিএমপি’র পক্ষ থেকে প্রতিটি পশুর হাটেই রয়েছে ‘ফেক নোট ডিটেকক্টিং মেশিন’।
তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো রাজধানীর অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটগুলোতে রয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারি।
পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন ব্যাংকগুলোকেও মনিটরিং করার জন্য ডিএমপি’র পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পশু বিক্রির পর বিক্রেতা টাকা হাতে নেওয়ার আগেই ব্যাংকের জালনোট শনাক্তকর বুথে গিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ব্যাংকে কর্মকর্তারা টাকার বান্ডিল মেশিনের লেজার আলোতে পরীক্ষা করে দেখছেন।
বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে হাটগুলোতে জালনোট শনাক্তকরনের একাধিক বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে এক সিফটে তিনজন করে দায়িত্ব পালন করছেন। ২৪ ঘণ্টায় একটি বুথের দায়িত্বে রয়েছেন মোট ৯ জন কর্মকর্তা।
উত্তরা ১১ ও ১৩ নম্বর সোনারগাঁও জনপদের কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটে বেসরকারি ব্যাংকের জালনোট শনাক্তকরণ বুথের দায়িত্বে থাকা ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা এস এম আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, হাটের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোনো জালনোট আমরা পাইনি। তবে এ বছর পশুর হাটে জালনোটের দৌরাত্ম্য চোখে পড়ছে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) বিধান ত্রিপুরা বাংলানিউজকে বলেন, হাটগুলোতে পশু বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সার্বক্ষণিক সুবিধা প্রদানে আমরা কাজ করছি। কোনো অসাধু ব্যক্তি যাতে কোনো ব্যবসায়ীকে জালনোট দিয়ে প্রতারণা করতে না পারেন, সেজন্য আমাদের নজরদারি রয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো পশু ব্যবসায়ী টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে যদি পুলিশের সাহায্য চান, সেক্ষেত্রে প্রথম কলেই নিকটবর্তী থানা থেকে তাদের মানিস্কটের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
তবে যারা এখানে টাকা যাচাই-বাছাই করতে আসছেন, তাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো জালনোট ধরা পড়েনি বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এসজেএ/এএসআর
** হাটে পশু-ক্রেতা-বিক্রেতার চরম দুর্ভোগ