পঞ্চগড়: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পঞ্চগড়ের তিনটি উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত ১১ ছিটমহলের তিন হাজার ৮২৩ নতুন বাংলাদেশি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সদর, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) নিজ নিজ উপজেলার সাবেক ছিটমহলগুলোতে চাল বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
পঞ্চগড় জেলায় থাকা নতুন বাংলাদেশিদের জন্য ৩৮ দশমিক ২৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
জেলার সদর উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত একটি ছিটমহলের ৪২২টি নতুন বাংলাদেশি পরিবারের মধ্যে চার দশমিক ২২০ মেট্রিক টন, বোদা উপজেলার সাতটি ‘ছিটমহলে’র এক হাজার ৪৪৮টি নতুন বাংলাদেশি পরিবারের মধ্যে ১৪ দশমিক ৪৮০ মেট্রিক টন ও দেবীগঞ্জ উপজেলার তিনটি ‘ছিটমহলে’র এক হাজার ৯৫৩টি নতুন বাংলাদেশি পরিবারের মধ্যে ১৯ দশমিক ৫৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
৩১ জুলাই ‘স্বাধীন’ হওয়া ছিটমহলগুলোর বাসিন্দাদের জন্য নতুন বাংলাদেশি হিসেবে এটিই প্রথম ঈদ। এজন্য ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিংয়ের (ভিজিএফ) আওতায় বিশেষভাবে তাদের এ চাল দেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি নতুন বাংলাদেশিদের ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ভিজিএফের চাল নিতে আসা গাড়াতি ‘ছিটমহলে’র বাসিন্দা মো. খোকন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের স্বাধীন হওয়ার বয়স মাত্র এক মাস ২৩ দিন। স্বাধীন বাংলদেশের নাগরিক হিসেবে এটিই আমাদের প্রথম ঈদ। প্রথম ঈদে সরকারের দেওয়া চাল পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। এজন্য নতুন বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মুক্তি দিয়েছেন। আর এখন ঈদ করার জন্য চাল দিলেন, আমরা আজীবন তার জন্য দোয়া করবো। এভাবেই বাংলানিউজের কাছে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন নতুন বাংলাদেশি আনিসুর রহমান।
পঞ্চগড় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. রনি আলম নুর বাংলানিউজকে বলেন, সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের অব্যাহত বিশেষ কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ একটি।
ঈদ উপলক্ষে নতুন বাংলাদেশিদের জন্য সরকারের এই সহায়তা তাদের ঈদ আনন্দকে বাড়িয়ে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এসআই