ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বৃষ্টি-কাদায় একাকার আফতাবনগর হাট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
বৃষ্টি-কাদায় একাকার আফতাবনগর হাট ছবি: সোহাগ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আফতাব নগর (মেরুল বাড্ডা) থেকে : বৃষ্টি আর কাদার মধ্যে রাজধানীর আফতাবনগর কোরবানির হাটে পশু বেচা কেনা চলছে। যদিও গরুর বাজার যতটা ধুমধামে বিকিকিনি হচ্ছে, তার ভাটা রয়েছে ছাগলের বাজারে।



রাজধানীর এ হাটে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পশুর দাম তুলনামূলক কম থাকলেও দুপুরের পর ক্রেতার চাপ বাড়ায় দাম কিছুটা বাড়ছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বেশি লাভ নয়, অল্পদামেই বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু।

তবে হাটটি মূল সড়ক থেকে দূরে হওয়ায় এবং কাদার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

রামপুরা ব্রিজ থেকে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভেতরে খানিকটা পায়ে হেঁটে একটি বেইলি ব্রিজ পার হলেই রাস্তার দুপাশে বসেছে প্রায় ৪ বর্গকিলোমিটারের এ হাট। গত দুই দিন ক্রেতা কম থাকলেও বুধবার তিল ধরণের ঠাঁই নেই। সকালের দিকে রিক্সা-গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢোকার সুযোগ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে ভেতরে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে মূল সড়ক থেকে ভেতরের দিকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় ইজারাদার রায়হানের লোকজন।

সকালের চেয়ে বিকেলে ক্রেতার চাপ অনেক বেশি। সন্ধ্যায় এক লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে দুটি দেশি গরুর ক্রেতা আব্দুর রহমান মিয়া জানান, দাম বেশি না। মোটামুটি স্বাভাবিক দামেই এ দুটি গরু কিনেছি। মানুষের যে চাপ জানি না আগামীকাল বাজারের কি অবস্থা হয়। তাই আজকে কিনে নিয়েছি।

এদিকে ছাগলের বাজারের ক্রেতার সংখ্যা তেমন একটা দেখা যায়নি। গোপালগঞ্জ থেকে বেপারী ছায়দুল ৬৩টি ছাগল এনেছিলেন হাটে। কিন্তু গত দুদিনে একটি ছাগলও বিক্রি করতে পারেননি । কারণ হিসেবে বলছেন, ছাগলের দামের চেয়ে অল্প দাম বলছে ক্রেতারা। প্রায় প্রতিটি ছাগল তিনি ১০ হাজার টাকা দরে কিনেছেন। কিন্তু ক্রেতারা সর্বোচ্চ দাম বলছে ৬/৭ হাজার টাকা।

এর মধ্যে পাওয়া গেল এক ক্রেতাকে যিনি একটি খাসী কিনেছেন। তিনি বলেন, ছাগলের চেয়ে মানুষের নজর বেশি গরুর দিকে তাই ছাগলের বাজারে মন্দাভাব। তিনি খাসীটি কিনেছেন সাড়ে চার হাজার টাকা দিয়ে।

কুষ্টিয়ার গরুর বেপারী মকবুল বলেন, আর ভালো লাগে না। যেমন বৃষ্টি তেমন কাদা। এ অবস্থায় অল্প লাভ নিয়েই গরু বিক্রি করছি।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দামের বেশি গরু বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে মাঝারি সাইজের গরুর প্রতি বেশি আগ্রহ ক্রেতাদের। যে গুলোর দাম পড়ে ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।

এই হাটে রাজশাহী, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, বগুড়া, ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে এসেছে বেপারীরা। হাটের বেশিরভাগ গরুই দেশিয়। ভারতীয় গরুর সংখ্যা কম।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩,২০১৫
ইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।