ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জমজমাট বেচাকেনা, স্বস্তিতে ক্রেতা-বেপারিরা

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
জমজমাট বেচাকেনা, স্বস্তিতে ক্রেতা-বেপারিরা ছবি: জি এম মুজিবুর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাবতলী পশুরহাট ঘুরে: কোরবানি উপলক্ষে রাজধানীর গাবতলীর পশুরহাট গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পশুর বেচাকেনায় জমে উঠেছে।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে এ হাটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে দেখা গেছে।

গত তিন কোরবানির ঈদে অনেক বেপারি লোকসানের কবলে পড়লেও, এবার তেমনটা হচ্ছে না বলে জানান বেপারিরা।

অন্যদিকে ভারতীয় গরু আসা বন্ধসহ নানা কারণে এবার গরুর দাম চড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও, তা হয়নি। স্বাভাবিক দামে গরু কিনছেন ক্রেতারা।

তবে বেপারিরা ধারণা করেছিলেন, গরু প্রতি লাভের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। কিন্তু তা হয়নি। কুষ্টিয়া মিরপুরের যদু বেপারি কোরবানি উপলক্ষ্যে গাবতলী হাটে ২৪টি গরু এনেছিলেন। বর্তমানে মাত্র ৭টি গরু অবিক্রিত আছে তার। প্রতিটি গরুই কম লাভে বিক্রি করেছেন বলে জানালেন তিনি।

যদু বেপারি বাংলানিউজকে বলেন, গেল বারের মতো বাজার ডাউন (খারাপ) না। আল্লাহ দিলে ভাত কাপড়ের ট্যাকাডা (টাকা) হইব।

তবে এবার হাটে দেশিয় মাঝারি আকৃতির ষাঁড় গরুর চাহিদা অনেক বেশি। ভারতের বড় বড় বলদ
গরুর চাহিদা কম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটের খাদেম আলী বেপারি ২০টি ষাঁড় গরু হাটে এনেছিলেন। এর মধ্যে ১২টি বিক্রি হয়ে গেছে। তবে ১৫টি ভারতীয় বড় বলদ গরুর মধ্যে
বিক্রি হয়েছে মাত্র চারটি।

খাদেম আলী বলেন, ক্রেতারা ঠিকই ষাঁড় গরু লিয়ে লিছে । সাদা বল (সাদা বলদ) দামই কইচে নাকো। একনও (এখনও) একদিন বাকি আছে। আল্লা চাহে তো সব গরু ক্রেতারা লিয়ে যাবে।

রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুরহাট গাবতলীতে এবার অন্যান্য কোরবানির ঈদের তুলনায় গরু কম আমদানি হয়েছে। দেশীয় গরুর সংখ্যা বেশি। তবে পশুর দাম
নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন।

মানিকগঞ্জের নজর আলী বেপারি বলেন, এবার গরুও কম, খদ্দেরও কম। ক্রেতারা গরুর দাম অনেক কম বলছে।

তবে বেপারিদের অভিযোগ মানতে রাজি নন ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ গরু কম থাকায় বেপারিরা অনেক বেশি দাম চাইছেন।

মিরপুরের ক্রেতা হাজী আওলাদ হোসেন বলেন, গত কোরবানির ঈদের থেকে গরুর অতিরিক্ত দাম চাইছে বেপারিরা। এক লাখ টাকার গরুর দাম চাইছে দেড় লাখ।

তবে বেপারিরা বলছেন, গত কোরবানির ঈদে মাংসের দাম কম ছিল। গো-খাদ্যের দামও কম ছিল। কিন্তু এবার গো-খাদ্য ও মাংসের দাম বেশি।

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের শরিফ বেপারি বলেন, গেল ঈদে গরুর ‍মাংসের দাম ছিল কেজি দুইশ’ টাকা। এবার মাংসের দাম দ্বিগুন। দরকার হলে, গরু নিয়ে কসাই দিয়ে জবাই করিয়ে কেজি হিসেবে বিক্রি করবো, তবুও লোকসানে বেচব না। তবে এবার বাজার একেবারে ডাউন না, আল্লাহ দিলে কিছু হবে (লাভ)। সস্তায় গরু কিনে ক্রেতাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, এবার তা হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এমআইএস/আরএম

** বৃষ্টি-কাদায় একাকার আফতাবনগর হাট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।