পাথরঘাটা (বরগুনা): বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনার তিনদিন পর গভীর সমুদ্র থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় চার জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উপকূল থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে তাদের ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঝড়ে কবলিত হয়ে রাত আড়াইটায় তাদের ট্রলার ডুবে গেলে জাল ভাসানোর ফ্লোট ধরে তারা সাগরে ভেসে ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের জামাল খান, কাঠালতলী ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের নেসার, কালমেঘা ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের বেলাল হোসেন এবং বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার আফতাব বাওয়ালির ছেলে বেলাল।
এফবি জাকিয়া ট্রলারের মাঝি নাসির উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) পাথরঘাটা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে জাল টানার সময় মানুষের মত কিছু ভাসতে দেখে কাছে যাই। গিয়ে দেখি প্রায় অচেতন চারজন মানুষ ফ্লোট ধরে ভাসছে। তাৎক্ষণিক তাদের ট্রলারে তুলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর আমরা সাগর থেকে জাল উঠিয়ে দ্রুত পাথরঘাটার উদ্দেশে রওয়ানা হই। পরে ট্রলার মালিক সমিতির সহায়তায় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
এফবি রুমানা ট্রলারের মালিক ও মাঝি জামাল খান বর্তমানে পাথরঘাটা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। ইশারায় ও অস্ফুটস্বরে জানান, সাগর থেকে তোলার পরই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
বাগেরহাটের বেলাল জানান, তিনি এফবি রুপক নামে ট্রলারের জেলে হিসেবে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ঝড়ে ট্রলার ডুবে যাওয়ার পর অন্য জেলেদের কি পরিণতি হয়েছে জানেন না তিনি।
অপর জেলে নেছার উদ্দিন বলেন, চিন্তাই করতে পারিনি বেঁচে ফিরবো। মনে করেছি হাঙ্গর বা সামুদ্রিক প্রাণির খাদ্যে পরিণত হব।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, আহত জেলেদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শাহনেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, চার জেলের তথ্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জানান, উদ্ধার হওয়া জেলেরা স্বাভাবিক হয়ে উঠছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫
এমজেড