ঈদে ঘরে ফেরার পথে: ঈদে বাড়ি ফেরার পথে আগের রেকর্ড ভেঙে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নতুন রেকর্ড গড়লাম।
১৯৯৮ সালে (যমুনা সেতু উদ্বোধনের পর) সাড়ে ৪ ঘণ্টায় রংপুর থেকে ঢাকায় গিয়েছিলাম।
শুধু আমি নই। আরও লাখো ঘরমুখো যাত্রী নতুন নতুন রেকর্ডের বিড়ম্বনায় পড়েছেন। মুখে তারা সরকার ও সংশ্লিষ্টদের একহাত দেখে নিতে ছাড়েননি।
সুমন মিয়া নামের এক যাত্রীতো বলেই বসলেন, আমাদের আর কোরবানি না দিলেও চলবে। কারণ কোরবানি মানুষকে সেক্রিফাইস’র দীক্ষা দেয়। আমরা যে সেক্রিফাইস করছি, তা কম কিসে। এখনও কোনো যাত্রী ভাংচুর শুরু করেননি। এর চেয়ে বড় সেক্রিফাইস আর কী হতে পারে।
আরেক যাত্রী বললেন, বাঙালির মতো এতো ধৈর্যশীল জাতি মনে হয় আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাস্তায় এতো দুর্ভোগ কিন্তু টিভি খুললে মন্ত্রীদের কী সুবচন। কোনোদিন কেউ শুনেছেন, রাগ করে টিভি ভেঙে ফেলছে কোনো দর্শক।
সত্যিই এ দেশের মানুষ চরম ধৈর্য্যশীল। তারা সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করে নেয়। যে কারণে কর্তারা সুবচন দিয়ে সবকিছু ঢেকে রাখতে চান।
উত্তরাঞ্চলের লোকজন ভেবেছিলো যমুনা সেতু হলে তাদের দুঃখ-বিড়ম্বনা দূর হবে। তখন ফেরি পারাপার হয়ে ঢাকা যেতে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লেগে যেতো। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন সেতুটি উদ্বোধন হয়। এরপর কিছুদিন পরিস্থিতি ভালোই চলছিলো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করেছে।
৩০৫ কিলোমিটার দূরত্বে যানজট না থাকলে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ঘণ্টা লাগার কথা। সরকার অনুমোদিত ঘণ্টায় গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার। সেই পথ যেনো আর শেষ হতেই চাইছে না।
বাসে বসে বসেই অনেককে বলতে শুনলাম আর কখনও ঈদে বাড়ি যাবেন না। প্রয়োজন হলে ঈদের পর বাড়ি যাবেন। আমিও এরকম অনেক প্রতিজ্ঞা করেছি। আসলে যাই বলি বা প্রতিজ্ঞা করি না কেন, ঈদে নাড়ির টানে ঘরে না ফিরে পারা যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫
এসআই/আরএম
** চাঁদরাতে স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রা দক্ষিণাঞ্চলবাসীর
** তিল ধারণের ঠাঁই নেই, গলাকাটা ভাড়া আদায় সদরঘাটে