ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ফেসবুকেও ক্ষমা চাইলেন ওবায়দুল কাদের

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫
ফেসবুকেও ক্ষমা চাইলেন ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: ‘আমাকে ক্ষমা করবেন, পথে যারা কষ্ট পেয়েছেন’, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের পথে পথে বিড়ম্বনায় তাদের কষ্টে সমব্যথী হয়ে এভাবেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘I apologize to these who are suffering on roads, I am extremely Sorry.’

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ স্ট্যাটাস দেওয়ার পর রাত সাড়ে দশটায় এতে মন্তব্য করেন ৪২ জন, আর এটি পছন্দ করেন ১৬৩৩ জন।



এদের মধ্যে সাংবাদিক প্রণব সাহা তার কমেন্টে লিখেছেন, তাও ভালো,একজন মন্ত্রী আছেন, যিনি দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাইতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ।

অনিরুদ্ধ রনি নামে একজন লিখেছেন, সত্যিকার নেতা। মন্ত্রী হয়েও জনগণের কষ্টের জন্য সবাই ক্ষমা চাইতে পারে না। আপনি পেরেছেন।

সৈয়দ এস এম নাজমুল হায়দার লিখেছেন, একজন মন্ত্রীর এমন সৌজন্যতা রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা হিসেবে বিবেচিত হবে। রোকেয়া রাহিমা লিখেছেন, মহান নেতার মহান উক্তি।

মুকুট ‌আইনী লিখেছেন, জ্যামের জন্য আট ঘণ্টা আটকা থেকে ফিরে এলাম ঢাকায়। বাবা-মার সঙ্গে এ বছর আর ঈদ করা হলো না। আপনার ওপর কোনো অভিযোগ নেই। কারণ আপনি চেষ্টা করেছেন।

মোজাহিদুর রহমান লিখেছেন, অনেক কষ্টে আছি। তারপরও ভালো লাগলো আপনার উপলব্ধি দেখে।

যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, আমি নিজেই আশুলিয়ার-বাইপাইলে তিন-চার ঘণ্টা জ্যামে আটকে ছিলাম। আমার যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে অন্যদের পরিস্থিতি কেমন, তা সহজেই অনুমান করা যায়।

তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে সাড়ে চার বছর জেল খেটেছি। জীবনে অনেক কষ্ট সয়েছি। তবে মন্ত্রী হয়ে যতো কষ্ট করছি, তা গোটা জীবনেও করিনি।

চেষ্টা করেছি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে। তবে বলতে দ্বিধা নেই, আমি অসহায়। ঘরমুখো যাত্রীদের আমার বলার মতো কিছু নেই। অনেকেই আট-দশ ঘণ্টা জ্যামে আটকে ছিলেন।

কাদের আরও বলেন, আমার দেখা ভয়াবহতম ট্রাফিক জ্যাম এবার দেখলাম। অথচ ঈদের আগে বহুবার এ সড়ক আমি পরিদর্শন করেছি। চন্দ্রায় বাই লেন তৈরি করে দিয়েছি। কোনো কাজে আসেনি। আসলে চার লেন করেও কোনো লাভ হবে না। যতক্ষণ না আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে।

ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা কথা দিয়েছিলেন, ঈদের আগে মহাসড়কে তারা ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহন নামাবেন না, পণ্যবাহী যানবাহন চালাবেন না।

কিন্তু তারা সেই কথা রাখেননি। ১৯টি ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে অচল হয়ে যে দুর্বিসহ পরিস্থিতির সৃষ্টির করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলেও কি ভোগান্তির অবসান হবে?

জনপ্রতিনিধিরা কথা দিয়েছিলেন,তারা মহাসড়কের পাশে হাট বসাবেন না। কিন্তু কষ্ট হলেও বলতে চাই, তারা সেটা করেছেন। জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি আমলে না নিয়ে আর্থিক স্বার্থের কথা ভেবেছেন। তারাই যদি জনগণের ভাষা না বোঝেন, তাহলে কে বুঝবে, বলেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে যানজট নিরসনে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে ঘরমুখো মানুষের কাছে ক্ষমা চান ওবায়দুল কাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫
আরএম/

** বাড়ি ফেরার নতুন রেকর্ড
** চাঁদরাতে স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রা দক্ষিণাঞ্চলবাসীর
** তিল ধারণের ঠাঁই নেই, গলাকাটা ভাড়া আদায় সদরঘাটে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।