ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

এখনও দুর্গন্ধ রাজধানীর পশুর হাটে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
এখনও দুর্গন্ধ রাজধানীর পশুর হাটে ছবি: দীপু/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঈদের তৃতীয় দিনেও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটের ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। কোরবানির পর রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার বর্জ্য অপসরণ করে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক।



কিন্তু ঈদের তিনদিন পরও রাজধানীর পশুর হাটের ময়লা অপসারণ করা হয়নি। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।

ঈদের তৃতীয় দিন রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার তিনশ’ ফিট পশুর হাটে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পশুর মল-মূত্র।

আর এসব ময়লার স্তুপ থেকে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে। রয়েছে খড়কুটাও।

এমনকি কোরবানির পশু বেঁধে রাখার বাঁশও এখন পর্যন্ত সরানো হয়নি।

তবে রোববার সকালে ডিএনসিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘২৭ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করে কম্পারেটিভলি ক্লিন ঢাকা উপহার দিতে পেরেছি। ’

কিন্তু বাস্তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার আফতাব নগর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার তিনশ’ ফিট পশুর হাটে সে চিত্র দেখা যায়নি।

তিনশ’ ফিট পশুর হাটের বাঁশের ইজারাদার মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এখানকার বাঁশ ও ময়লা সরাতে আরও দুইদিন লাগবে। ঈদের দিন বিকেল থেকেই ১০ থেকে ১২জন লোক দিয়ে এ স্থানের ময়লা পরিষ্কারের কাজ চলছে। ’

‘অন্যান্য জায়গার মতো এ হাটে একটাও খড়কুটা পড়ে থাকবে না, সব আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হবে,’ বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে রেজাউল করিম বলেন, ‘হাট ইজারাদার খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক ভাইয়ের নির্দেশেই এখান থেকে পশুর মল-মূত্র পরিষ্কার করছি। ’

এদিকে রাজধানীর আফতাবনগর পশুর হাটসহ এর পাশের সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে খড়কুটাসহ ময়লা-আবর্জনা। বাতাসে তা ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায়।

আফতাব নগর এলাকায় ও রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের পাশে ভেজা খড়কুটা রোদে শুকাচ্ছিলেন আলকাস মিয়া। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের বৃষ্টিতে সব খড়ই ভিজে গেছে। তাই রোদে রাস্তায় ফেলে শুকাচ্ছি। ’

ডিএনসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা বলেন, ‘গণমাধ্যমে মেয়র বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের কথা। আর আমাদের বলেছিলেন ৩০ ঘণ্টার মধ্যে তা অপসারণ করতে হবে। কিন্তু আমরা মাত্র ২৭ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণে সফল হয়েছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
এফবি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।