ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ভোলায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক মুমূর্ষু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
ভোলায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক মুমূর্ষু ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভোলা: ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. নূরে আলম (৩২) এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নং ইউনিটের বাদশাহ মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।



আহত নূরে আলম চর সামাইয়ার আবদুল মালেক মাস্টারের ছেলে। তিনি এখন বরিশাল সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের ১৪টি আঘাত রয়েছে।

ঘটনার পরপরই হামলাকারীরা গা ঢাকা দিয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে নূরে আলমের পরিবার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে বাদশাহ মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় মোটর সাইকেলযোগে এসে নূরে আলমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় আনোয়ার (৩১), ইউসুফ (২৮) ও মামুন (২০)। তারা নূরে আলমকে বগি দা ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।

স্থানীয়রা আরও জানান, মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই নূরে আলমের গায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১৪টি কোপ দিয়ে মোটর সাইকেলযোগেই দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীরা। তারা তিনজনই চর সামাইয়ার ৫ নং ওয়ার্ডের মোশারফ হোসেন (কুট্রি) পেয়াদার ছেলে।

মুমূর্ষু নূরে আলমকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয় লোকজন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এখন সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।

নূরে আলমের বাবা আবদুল মালেক মাস্টার অভিযোগ করে বলেন, প্রায় এক বছর আগে মামুন ও তার বাবা আমাদের ওপর হামলা চালায়। সেই ঘটনায় মামলা করা হলে মামুনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। মামুনদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের চাপ দিতে থাকে, অন্যথায় এর পরিণতি ভালো হবে না বলে হুমকি দেয়। শনিবার রাতে আমার ছেলেকে একা পেয়ে ওরা তিন ভাই মিলে মেরে ফেলতে চেয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

স্থানীয় মামুন পালোয়ান বলেন, গত রমজানের ঈদে খেয়াঘাট এলাকার এক যুবককে বন্ধুদের নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে মামুন। ওই ঘটনায় তার কোনো বিচার না হওয়ায় এখন সে কাউকে পরোয়া করে না। এর আগেও এলাকায় বেশ কয়েকজনের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত মামুন। এমনকি সে থানার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামিও।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) অসীম কুমার শিকদার বাংলানিউজকে জানান, এ ধরনের অভিযোগ এখনও আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫/আপডেট ২০০৯ ঘণ্টা
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।