খুলনা: সৌদি আরবের মিনায় বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ‘শয়তান স্তম্ভে’ পাথর ছুড়তে গিয়ে পদদলিত হয়ে নিহত মাওলানা শহিদুল ইসলাম বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা তৃতীয় আবাসিক এলাকায় শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে এ হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে।
বাড়িতে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছেন। শহিদুল ইসলাম ওই এলাকার ছানিয়াতুল বিদা জামে মসজিদের ইমাম ও বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্মের শিক্ষক ছিলেন।
![](files/September2015/September27/222_716143057.jpg)
তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং সমবেদনা জানাচ্ছেন।
শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ সৌদিতে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার বড় ছেলে বেলাল হোসাইন ও জামাই নাজমুল হাসান।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাদ আছর ছানিয়াতুল বিদা জামে মসজিদের সামনে মরহুমের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনি ও প্যানেল মেয়রসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিনার বড় জামারাতে শয়তানের স্তম্ভে পাথর ছোড়ার সময় পদদলিত হয়ে নিহত হন ৭৬৯ জন হাজি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৩৪ জন। এরপর থেকে খোঁজ মিলছে না খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের আরেক হজযাত্রী গোলাম কিবরিয়া পিপুরের (৩৭)। ওই দুর্ঘটনার পর থেকে সৌদি আরবে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
রোববার পিপুরের চাচা খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সাবেক কাউন্সিলর শেখ রুহুল আমিন বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
এমআরএম/আরএম