ঢাকা: নারীর জন্য সমতা প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর মাধ্যমেই নারীর জন্য উন্নত একটি বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে রোববার নারী-পুরুষ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশ্ব নেতাদের বৈঠকে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের গৃহিত নতুন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় নারী ও মেয়েদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে যে সাহস জোগানো হয়েছে সেই সুযোগটিই কাজে লাগাতে হবে, বলেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে তার সরকার অব্যাহতভাবে কাজ করবে এই অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেতাও নারী এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য অব্যাহত কাজ চালিয়ে যেতে আমার সরকারের প্রতিশ্রুতি এখানে পুনর্ব্যক্ত করছি। ’
শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি, বাণিজ্য, শ্রম বাজার ও উচ্চ শিক্ষায় নারীদের জন্য আরও সুযোগ ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার সরকার কাজ করছে।
‘পরিবর্তন আনতে হলে আমাদের নারী ও কন্যাদের জন্য আরও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নারীর বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য ও সহিংসতার অবসান ঘটাতে হবে, আন্তর্জাতিক এই ফোরামে জোর দিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মানবপাচার বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচারের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বাল্য বিয়ের অবসান হবে, মাতৃস্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিকে আমাদের আরও গভীর ও বিস্তৃত কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।
দক্ষ ধাত্রীর হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে তার সরকার কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
নারী উন্নয়নে তার সরকারের নেওয়া কৌশলের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষা, শিক্ষা বৃত্তি, বিনা মূল্যে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ও নারীদের জন্য আত্মকর্মসংস্থানের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
চলুন, সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমতা অর্জনের আওয়াজ তুলি এবং আমাদের নারী ও মেয়েদের জন্য পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য করি, বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময় ২০৫৩ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
এমএমকে