ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শেকড় ছেড়ে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
শেকড় ছেড়ে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ ছবি: দীপু মালাকার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঢাকার রাস্তাগুলো এখনও ফাঁকা। নেই চিরচেনা যানজট।

ঈদুল আজহার সরকারি ছুটির পর দ্বিতীয় কর্মদিবস চললেও ঈদের আমেজ যেনো যায়নি।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর)  কমলাপুর স্টেশনে গিয়েও দেখা গেলো সেই চিত্র।

জীবিকার তাগিদে শেখড় ছেড়ে রাজধানীতে মানুষ আসতে শুরু করলেও স্টেশনে যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার সময় যেমন মানুষ ট্রেনের ছাদে, দরজায় ঝুলে বাড়ি গিয়েছেন, রাজধানীতে ফেরার সময় সে চিত্র এখনও দেখা যায়নি।

কমলাপুর স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মতে, দু’একদিন পরই ট্রেনে ভিড়-ভাট্টা বাড়বে। সাধারণত ঈদের পর তৃতীয়-চতুর্থ কর্মদিবস থেকে রাজধানী ফেরত মানুষের স্রোত দেখা যায়।

ঢাকায় আসা মানুষের স্রোত দেখা না গেলেও শেকড়ের টানে ছেদ ঘটিয়ে পিচঢালা পথ আর কংক্রিটের দেয়ালে ঘেরা শহরে ফিরতে শুরু করেছেন জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে থাকা মানুষ।

পেশাগত কারণে যারা সোমবার ফিরেছেন তারা বলেন, ফিরতে ইচ্ছে না করলেও, জীবিকার জন্য আসতেই হচ্ছে এই শহরে। আবার অনেকে ফিরছে স্কুল-কলেজের ছুটি নেই বলে।

সোমবার কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা যায়নি গাদাগাদি ভিড়। সকাল থেকেই চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেন কমলাপুরে এসে পৌঁছেছে। ফেরার পথে নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে সময়মত ট্রেন ছেড়েছে বলেও জানান যাত্রীরা। এছাড়া কমলাপুর স্টেশন থেকেও প্রায় সময়মত ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে।

ফেনী থেকে আসা ফারদিন হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, আসন পেতে একটু কষ্ট হয়েছে। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ফেরত টিকিটে আসন নিশ্চিত করতে পেয়েছি। এছাড়া আর কোনো ঝামেলা হয়নি। নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট পরে ট্রেন আসলেও শিডিউলে বিপর্যয় হয়নি।

কমলাপুর স্টেশনে কথা হয় রাজশাহী থেকে আসা মিরাজ আহমেদের  সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে বাড়ি যেতে পেরেছি। ফিরেছিও নিরাপদে। ট্রেন কয়েক মিনিট দেরিতে ছাড়লেও শিডিউল বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটেনি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাঈমা সুলতানা বলেন, ছুটি শেষ তাই আজই (সোমবার) ফিরলাম। বাড়ি যাওয়াটা আনন্দের হলেও ফেরাটা অনেক কষ্টের। ইচ্ছে করে না আসতে তবুও আসতে হয়।

এদিকে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট থেকে একঘণ্টা সময়ের মধ্যে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে। ট্রেন পৌঁছাতে সামান্য দেরি হলেও এটাকে ‘শিডিউল বিপর্যয়’ হিসেবে দেখছেন না কমলাপুর স্টেশনের কর্মকর্তারা।

কমলাপুর স্টেশনের ম্যানাজার সিতাংশু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, এবার ঈদে যাওয়া আসার মধ্যে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি হয়নি। দু’একটি ট্রেন ছাড়া প্রায় সব ট্রেনেরই শিডিউল ঠিক ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
এডিএ/বিএসস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।