বগুড়া: মফিজ বাসে (স্থানীয় ভাষায়) ঢাকায় যেতে লাগছে ৬০০টাকা। আর ছাদে ২০০টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বগুড়া শহরের চারমাথায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে কর্মস্থলমুখি মানুষের সঙ্গে কথা হলে এ তথ্য ওঠে আসে।
![](files/Bus_tiket_01_900175454.jpg)
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, জয়পুরহাট, নওগাঁ, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া, কাহালু, নন্দীগ্রাম, সারিয়াকান্দি, সোনাতলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহর এবং গ্রামাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ ঢাকার একাধিক গার্মেন্টে চাকরি করেন।
এসব জেলা-উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চল থেকে ঢাকার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য গার্মেন্টকর্মীরা এই বাস টার্মিনালে এসে জড়ো হন। পরে এখান থেকে গাড়ি ধরে তারা কর্মস্থলে যান।
![](files/Bus_tiket_02_431241869.jpg)
রবিউল ইসলাম, আব্দুল হাকিম, হাসান আলী, আলেয়া বেগম, দিলরুবা, সুমি আকতারসহ আরো অনেক গার্মেন্টকর্মী বাংলানিউজকে জানান, বাড়ি থেকে এই বাস টার্মিনালে আসতে তাদের গড়ে প্রায় ১০০ টাকার মত ভাড়া গুণতে হচ্ছে। আর এসব মফিজ বাসে সিট নিয়ে ঢাকায় যেতে ৬০০টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। ছাদে গেলে দিতে হচ্ছে জনপ্রতি ২০০টাকা করে। ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে এর চেয়েও বেশি হারে ভাড়া গুণতে হয়েছে।
অনেক গার্মেন্টকর্মী কর্মস্থলে ফিরতে ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও জানান তারা।
![](files/Bus_tiket_04_309402069.jpg)
টিকেট বিক্রেতা আজিজুল বাংলানিউজকে বলেন, এই টার্মিনাল থেকে মফিজ বাস অর্থাৎ কমদামি ব্যানারের বাস চলাচল করে। সারাবছর ব্যবসা মন্দা যায়। তাই বছরের দু’টো ঈদে বাসের মহাজনরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন।
কাউন্টার মাস্টার সেলিম ও মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের কারণে যাত্রীভরে বাসগুলো ঢাকায় গেলেও ফিরতি পথে ফাঁকা আসছে। যে কারণে একটু বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
![](files/Bus_tiket_03_911017942.jpg)
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
জেডএম