ঢাকা: সক্ষমতা সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪০টি দেশের মধ্যে তৈরি এ তালিকায় বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তৈরি তালিকাটি বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। এছাড়া বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সূচকে বাংলাদেশ ১৩২তম অবস্থানে রয়েছে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটি দেশের অর্থনৈতিক দক্ষতা ও শিক্ষা-সংস্কৃতিতে তার চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায়ই তালিকাটি প্রস্তুত করা থাকে। ২০১৪ সালে এ তালিকায় ১০৯তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।
সিপিডি জানায়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের ব্যবসায়িক পরিবেশ সম্পর্কে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ঢাকার ৫৬ জন ব্যবসায়ী এ জরিপে অংশ নেন। গত বছর এ জরিপে অংশ নিয়েছিলেন ৭৭ জন। ১০ কোটি টাকার উপরে যাদের সম্পদ ও মূল অফিস রয়েছে তারাই এ জরিপে অংশ নেন। ১২টি সূচকে জরিপ কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়। গত বছরের অংশ নেওয়া আটটি দেশ বাদ পড়লেও নতুন ১৮টি দেশ এ জরিপে অংশ নেয়।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, ১২টির সূচকের মধ্যে পরিবশে, অবকাঠামো ও স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের এগিয়েছে বলে মত দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আবার ব্যবসার জন্য সবচেয়ে প্রতিবন্ধক হিসেবে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, দুর্নীতি, এবং অদক্ষ প্রসাশনকে চিহ্নিত করেছেন তারা। তবে প্রতিবন্ধকতার মাত্রা তুলনামূলক হারে কমে যাচ্ছে।
সক্ষমতা সূচকে প্রতিবেশি দেশ ভারত রয়েছে ৫৫তম অবস্থানে। পাকিস্তান রয়েছে ১২৬তম অবস্থানে। তবে পাকিস্তানের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর এ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে স্কাইপিতে যোগ দেন সিপিডি'র নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি উত্তরোত্তর বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই মুহুর্তে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারসাম্যের সূচক নিম্নমূখী। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তারপরও বাংলাদেশের দুই ধাপ অগ্রগতি লক্ষণীয়। অবকাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ সূচকে উন্নতি করায় এ অগ্রগতি অর্জন হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিঙ্গাপুর এ জরিপের ১২টি সূচকের ৯টিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। বাজার দক্ষতা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ অবকাঠামোগত দক্ষতা, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা দিয়ে ছোট্ট অর্থনীতির এই দেশটি বিরাট উদারহরণ সৃষ্টি করেছে। ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭ হলেও গত বছর অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে এবারের অবস্থান ১০৬তম।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কমমূল্যে শ্রম, পুঁজিবাজার প্রভৃতি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। দুর্নীতির বিপরীতে বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন আছে। একে কার্যকরী করতে হবে। জনপ্রশাসন সম্পর্কে যে অভিযোগ উঠেছে, তার বিপরীতে সম্প্রতি পে-স্কেল বৃদ্ধি প্রসাশনের দক্ষতা বাড়াতে প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে বলা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫/আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা
জেপি/আরএইচ/জেডএস