নওগাঁ: দেশে ধান-চালের সবচেয়ে বড় পাইকারি মোকাম নওগাঁয় বাড়ছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় মোটা জাতের শর্টার (অটো মিলে প্রস্তুত) চালে ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও চিকন জাতের শর্টার চালে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
এর কারণ হিসেবে ধানের বাজার দর বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন স্থানীয় মিল মালিকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের পর বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ছিলো নওগাঁর চালের পাইকারি বাজারে বেচা-কেনার প্রথম দিন। বেচা বিক্রি কম থাকলেও এদিন মিনিকেট, নাজির, জিরাশাইল পাইজাম জাতের সরু শর্টার চাল প্রতি ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।
মোটা জাতের স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণা ও পারিচা জাতের শর্টার চাল প্রতি ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
মিল মালিকরা বলছেন, ঈদের আগে আউস মৌসুমের কাঁচা ধান বাজারে উঠলেও বোরো মৌসুমের শুকানো ধানের চাহিদাই ছিলো বেশি। দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া সরু জাতের জিরাশাইল, মিনিকেট, নাজিরশাইল ও পাইজাম জাতের ধানে মণ প্রতি দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। মোটা জাতের প্রতিমণ ধানে বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
নওগাঁ মৌ এগ্রো অ্যারোমেটিক অটোমেটিক রাইস মিলের পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম জানান, চিকন জাতের জিরা ও মিনিকেটসহ কিছু-কিছু জাতের ধানের আবাদ বছরে এক বারই হয়ে থাকে। তাই ওইসব জাতের ধান বাজারে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে।
তিনি জানান, এ মৌসুমের (বোরো) প্রায় পুরো সময়ই সব ধরনের চালের বাজার দর স্থিতিশীল ছিলো। কিন্তু ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে থেকে হাটে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দর বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ চকদার জানান, সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ কার্যক্রম প্রায় শেষ দিকে। তাই মোটা ধান-চালের বাজার কিছুটা উঠা-নামা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। অন্যদিকে খুচরা বাজারে চালের চাহিদা ও ধানের বাজার দরের উপর নির্ভর করে সরু চালের বাজার দর।
তিনি জানান, কৃষকের গোলায় মজুদ রাখা সরু জাতের ধান প্রায় শেষ দিকে। ঈদের পর হাটে আরো কিছুটা সরু জাতের ধানের সংকট দেখা দিতে পারে। ফলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চিকন বা সরু চালের বাজার দর আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এসএইচ