বগুড়া: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদে ডেরাহারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নে অবস্থিত ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার ডেরাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলেন। এমনকি মোবাইলে ফোনেই ওই ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন তিনি।
প্রধান শিক্ষকের এহেন অপকর্মের খবর প্রকাশ হওয়ার পর অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা এ ঘটনার বিচার চাইতে একজোট হয়ে বুধবার বিদ্যালয়ে যান। এসময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলামের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করেন। পরে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে সেখানে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
খবর পেয়ে বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি বি-সার্কেল) গাজিউর রহমান ও নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান শামীম ইকবাল ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে তারা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করা হবে।
তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন। তিনি বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, একটি কু-চক্রি মহল তাকে ফাঁসাতে উঠে পড়ে লেগেছে। মহলটি বহু আগ থেকে তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে এখন ছাত্রীকে উত্যক্ত করার মিথ্যা ঘটনা সাজানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এমবিএইচ/এইচএ/