ঢাকা: পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ ও ‘চায়না ড্রিম’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং।
আর চীন বাংলাদেশ সুসম্পর্ক দুই দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মত দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেখ খান মেনে।
বুধবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) চীনা দূতাবাসে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন দুই জনই।
![](files/china_inner_536737866.jpg)
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি উদযাপিত হয় ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসে।
রাশেদ খান মেনন চীনের সঙ্গে দীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, এই সম্পর্ক আরও কার্যকর ও উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের অগ্রগতি ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে নিজের বক্তৃতায় চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, এই মুহূর্তে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। অথচ ১৯৭৮ সালে চীনের মাথাপিছু আয় ছিলো মাত্র ২২৪ ডলার।
এছাড়া দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বছর চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪০তম বছর। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকেই ঘনিষ্ঠ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের মাধ্যমে দুই দেশই উপকৃত হয়েছে।
এছাড়া তিন দিন আগে নিউইয়র্কে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার। অপরদিকে চীনেরও রয়েছে চায়না ড্রিম। তাই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
আরআই