ঢাকা: ‘শুধু জাতিসংঘ নয়, সামগ্রিক অর্থে সারাবিশ্বের জন্য এ বছরটি আমূল পরিবর্তনের’ এই কথাটি দিয়েই শুরু হয় জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে, ঢাকার সময় রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এ বছর বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
বিশ্ব সংস্থাটির গৌরবান্বিত ইতিহাস তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নিয়তি একইসূত্রে গাঁথা’ আমাদের পূর্বসূরীদের এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে যে বিশ্বসংস্থার গোড়াপত্তন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন ও মানবাধিকারের অগ্রগতির জন্য জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। সত্তর বছর ধরে জাতিসংঘ মানব সম্প্রদায়ের জন্য আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক হয়ে আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য এই বছরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি স্মরণ করেন আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন শীর্ষক শীর্ষ-সম্মেলন এবং নিউইয়র্কে সদ্যসমাপ্ত ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন শীর্ষ সম্মেলনের কথা।
বলেন, গোটা বিশ্বের জনগণের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে নতুন আশার সঞ্চার করেছে এই উদ্যোগ।
আর ভবিষ্যতের আশাবাদ করতেও ভোলেন নি। বললেন, এ বছরের শেষে প্যারিসে আমরা একটি অর্থবহ জলবায়ু চুক্তিতে উপনীত হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি দারিদ্র্য নিরসন, জলবায়ু পরিবর্তন সীমিত রাখা এবং ধরিত্রীকে সুরক্ষার মাধ্যমে আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনার বক্তৃতা চলছে।
জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সাধারণ অধিবেশনের মূল পর্ব শুরু হয় ২৮ সেপ্টেম্বর। ওই দিন থেকেই বিশ্ব নেতারা এর মূল বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। চতূর্থ দিনের ১১ তম বক্তা হিসেবে নিজের ভাষণ তুলে ধরছেন তিনি। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই বক্তৃতা চলবে।
বাংলাদেশ সময় ২২৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএমকে