ঢাকা: বিশ্বে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে আজ আমরা সবচেয়ে বড় দুটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। যার প্রথমটি হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে ৭০তম অধিবেশনের মূল পর্বে অংশ নিয়ে বিশ্ব ফোরামে দেওয়া বক্তৃতায় শেখ হাসিনা জোর দিয়ে আবারও উচ্চারণ করলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই’।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকল রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি নিজে সন্ত্রাস এবং সহিংস জঙ্গিবাদের শিকার। আমার পিতা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন ভাই এবং অন্যান্য নিকট আত্মীয়দের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি নিজেও কমপক্ষে ১৯ বার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি।
![](files/hasina_inner_543670443.jpg)
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের অবস্থান তুলে ধরতে বিশ্ব ফোরামে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংস জঙ্গিবাদ এবং মৌলবাদের রিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী।
বাঙালি জাতির গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত রয়েছে, সেসব চরমপন্থী ও স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির মোকাবিলায় তার সরকার সদা-তৎপর, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সাধারণ অধিবেশনের মূল পর্ব শুরু হয় ২৮ সেপ্টেম্বর। ওই দিন থেকেই বিশ্ব নেতারা এর মূল বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। চতূর্থ দিনের ১১ তম বক্তা হিসেবে নিজের ভাষণ তুলে ধরেন তিনি। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের এই বক্তৃতা চলবে।
বাংলাদেশ সময় ২৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএমকে