ঢাকা, রবিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ব্যবহারে কার্পণ্য নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৫
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ব্যবহারে কার্পণ্য নয়

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার হচ্ছে উল্লেখ করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ব্যবহারে কোনো কার্পণ্য না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদি নষ্টের ভয়ে যাতে কেউ এসব ব্যবহারে বিরত না থাকে সেজন্য মাঠ পর্যায়ের লোকবল নিয়ে কাজ করারও নির্দেশ দেন মন্ত্রী।



বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে সারাদেশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় ক্লাসরুম সমস্যা দেখা দিয়েছে। একইভাবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের ফলেও নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব সমস্যা উন্নয়নের সমস্যা, এসব সমস্যাকে নেতিবাচকভাবে না দেখে টিম স্পিরিট নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।

সারা দেশে ২৩ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসব ক্লাসরুমের প্রযুক্তি সামগ্রী নষ্ট হওয়ার ভয়ে ব্যবহার থেকে বিরত থাকা যাবে না। নষ্ট হলে আবারও ঠিক করতে অর্থ দেওয়া হবে। এভাবে শিখতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

মন্ত্রী প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার বিবেচনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, তবে শিক্ষাখাতে অব্যাহত অগ্রযাত্রা ধরে রাখার জন্য অত্যাবশ্যক প্রকল্পের জন্য অর্থের অভাব হবে না।

সভায় জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫২টি নতুন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে ১৭টি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৫টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য দ্রুত পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানোর জন্য বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, কারিগরি শিক্ষার প্রসার, মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে এসব প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরতদের দ্রুত পদোন্নত, অমীমাংসিত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি, শূন্যপদে নিয়োগ, প্রশ্নপত্র প্রণয়নে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরাসহ সুষ্ঠুভাবে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনায় আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

সভায় জানানো হয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এসব বই পহেলা জানুয়ারি সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইং, অধিশাখা, শাখা ও দপ্তরের কার্যক্রমের অগ্রগতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস ছাড়াও শীর্ষ কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিব, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৫
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ