ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সরকারকে বিব্র্রত করতেই ভিত্তিহীন দাবি নিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের আন্দোলন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরাই সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
পরীক্ষা ভালো না দিয়ে পাস করার সুযোগ নেই। অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের কথা শোনারও সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৃহষ্পতিবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, রাজপথে আন্দোলন করে কোনো অযৌক্তিক দাবি আদায় করা যায় না। বর্তমান সরকার নির্বাচিত সরকার। এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। যুক্তির বাইরে কখনো যাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ও সরবরাহ প্রক্রিয়ার কোনো ত্রুটি আছে কি-না তা দেখতে আমি নিজে স্বাস্থ্য অধিদফতরে গিয়েছি। প্রক্রিয়ার প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে আমি ধারণা নিয়েছি। এ প্রক্রিয়ায় কোনোভাবে একটি প্রশ্নপত্রও বাইরে যাওয়ার সুয়োগ নাই। পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, কলেজ কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, এমনকি প্রশ্নের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ কখনোই ওঠেনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার দিন আমি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। সেখানে অবস্থানরত কয়েক শ’ অভিভাবক এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কথা বলেছি। তখনো কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে আমার কাছে ন্যূনতম কোনো অভিযোগ করেনি। সর্বোচ্চ কঠোরতা ও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শতভাগ সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী যাতে কোনোভাবেই ক্লাস ব্যাহত করতে না পারেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং হাসপাতালের পরিচালকদের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রায় শেষ হয়ে গেছে। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির প্রক্রিয়াও শুরুর পথে। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ভাগ্য অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া উচিত হবে না। কোনো অজুহাত দেখিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় মেডিকেলের ক্লাস ব্যাহত হতে দেবেন না। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কিন্তু কারো গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
মতবিনিময় সভায় বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক, বিএমএ’র মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনালসহ দেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের পরিচালকরা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৫
এসকেএস/এএসআর