লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে আটক ১৩ জেলেকে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে রামগতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউল হাসান এবং কমলনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম পৃথক এ রায় দেন।
এর আগে বুধবার রাতে রামগতির মেঘনা নদীর ওচখালী, টাংকির খাল ও চর আবদুল্লাহ এলাকায় নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে আট জেলেকে আটক করে। একই সময় কমলনগরে মেঘনা নদীর লুধূয়া ও আশপাশের এলাকায় কোস্টগার্ড, পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচ জেলেকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল ও বেশ কয়েকটি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
রামগতিতে দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন-উপজেলার চর টগবী গ্রামের বাসিন্দা মৃত শামছুল হকের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির (২৫) একই এলাকার মৃত নুর গাজীর ছেলে মো. ইউনুছ (৩২), ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মো. রিপন (২০), শিক্ষা গ্রামের বাসিন্দা মো. রতনের ছেলে শেখ আহাদ (২১), নুর উদ্দিনের ছেলে মো. রহমান (২০), আবদুর রশিদের ছেলে মো. লিটন (৩০), জহির উদ্দিনের ছেলে জিয়া উদ্দিন (৩০) এবং ওয়াজি উল্যাহর ছেলে নুর আলম (৩৫)।
কমলনগরে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-উপজেলার চর জগবন্ধু গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবদুর রবের ছেলে মো. জাহের হোসেন (৩০), আলাউদ্দিন (২৭), মো. হারুন (২৫), একই এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে আবদুর রহমান (৩২) ও ফলকন গ্রামের চৌধুরী মাঝির ছেলে মো. শফিক (৩২)।
কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ইব্রাহিম হামিদ শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নদীতে ইলিশ ধরার সময় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন।
২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ০৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর প্রায় ১শ’ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৫
আরএ