ঢাকা: দেশে বিগত বছরগুলোতে নারী উক্ত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনা, মাত্রা এবং ভয়াবহতা বেড়েছে। বখাটেরদের উৎপাতে তরুণী ও কন্যাশিশুদের আত্মহননের ঘটনা ঘটছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ আইন-২০১০ (খসড়া) প্রস্তাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধে প্রচলিত যে আইন রয়েছে, তা সবই শাস্তিমূলক। শুধুমাত্র প্রচলিত শাস্তিমূলক আইন দিয়ে ক্রমবর্ধমান উক্ত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রয়োজন প্রতিরোধমূলক আইনি ব্যবস্থা।
এতে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন তৈরি হবে, যা নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি উক্ত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধ এবং নির্মূলে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বক্তারা।
যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধে দ্রুত আইনি সুরক্ষা ও প্রতিকারের লক্ষ্যে, প্রস্তাবিত আইনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
মতবিনিময় সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম নেছার উদ্দিন ভূইয়া বলেন, সারা বিশ্বে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে আমাদের দেশে যে ধরনের ঘটনা ঘটে তা খুবই দুঃখজনক।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, উপ-পুলিশ কমিশনার (উইম্যান সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন) ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
এছাড়া মতবিনিময় সভায় চিকিৎসক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন এনজিওকর্মীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৫
টিএইচ/এসএস