বরিশাল: সোনালী ব্যাংকের বরিশাল করপোরেট শাখা থেকে গ্রাহকের টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় একটি মাইক্রোবাস, ১২ হাজার টাকা ও দু'টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন- ঢাকার বংশালের আরমানিটোলা এলাকার ইকবাল ও এমদাদুল হক এবং কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা মাইক্রোবাসের চালক নুরুল ইসলাম।
ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাইকারী চক্রের আরো দুই সদস্য পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, জমির ক্রয়-বিক্রয়ের রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দেওয়ার জন্য দুপুরে ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে নগরীর বগুড়া রোডের সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখায় যান দলিল লেখক বাবুল হাওলাদারের সহকারী রাজিব হাওলাদার।
ব্যাংকে ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্য ১ হাজার টাকার নোট দেখিয়ে সেটি জাল কিনা জানতে চেয়ে রাজিবকে ব্যস্ত রাখেন। এ সময় কৌশলে কাউন্টারের ভেতরে রাখা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অন্য একজন।
এ সময় রাজিব চিৎকার দিলে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে অন্যদের হাতাহাতি হয়। পাশেই ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টিমার ঘাট পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই শাহাবুদ্দিন। তিনি ঘটনা বুঝতে পেরে ইকবাল নামে একজনকে ধরে ফেলেন। বাকিরা মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে মাইক্রোবাসটি আটক করে। সেখান থেকে এর চালক ও আরো এক ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। এ সময় পালিয়ে যান আরো দুই জন।
টিএসআই শাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ইকবালকে আটকের পর ছিনতাইকারীরা মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ কন্ট্রোলে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশের আরেকটি দল ধাওয়া করে নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে দুই জনকে আটক করে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার আনসার উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, আটকরা পেশাদার অপরাধী ও প্রতারক। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ চক্রের অপর দুই সদস্যকে আটকের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৫
এমজেড