রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে ২ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা।
এছাড়া তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির কাছে অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত ওই দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুজন প্রামাণিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লিটন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এবং অপরজন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই দুই ছাত্রী সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনের রাস্তা দিয়ে হলে ফিরছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ টেন্টের সামনে তাদের পথরোধ করেন ছাত্রলীগ কর্মী সুজন ও লিটন। ওই দুই ছাত্রী শরীরে ধাক্কা লাগার ভয়ে দ্রুত রাস্তার পাশে চলে যান।
এসময় দুই ছাত্রলীগ কর্মী তাদের অশালীন উক্তি ও অঙ্গভঙ্গি করে। এক ছাত্রী এর প্রতিবাদ করলে সুজন ও লিটন তার শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ছাত্রলীগ কর্মীরা পাশে সরে যায়।
পরে তাৎক্ষণিক বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে তিনি একজন সহকারী প্রক্টরসহ ঘটনাস্থলে ও পুলিশ পাঠান। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে অভিযোগ জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সহকারী প্রক্টর শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।
লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, তারা দু’জন এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সোলাইমান চৌধুরী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রক্টর অফিস এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ছাত্রলীগের কর্মী সুজন প্রামাণিকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অন্য একজন রিসিভ করে বলেন, ‘সুজন ব্যস্ত আছে। তিনি কথা বলতে পারবেন না। ’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, ‘ছাত্রী হয়রানির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে প্রমাণ পেলে জড়িতেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ অভিযোগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া বলেন, ‘কোনো ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হলে আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারে। তবে কোনো অভিযোগ জমা হলে তদন্তের স্বার্থে আমরা সে বিষয়ে কিছু বলি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৫
এসএইচ