ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে অরাজকতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে অরাজকতা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: যাত্রীবাহী পরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। একদিকে লোকাল সার্ভিস বাড়তি ভাড়া আদায় করছে অন্যদিকে সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে অরাজকতা।


 
মঙ্গলবার (৬অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব অভিযোগ করেন বক্তারা।
 
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ও প্রচার সম্পাদক প্রকাশ দত্ত প্রমুখ।
 
বক্তারা বলেন, পরিবহন খাতে সরকারের কোনো মনিটরিং নেই। কেবল আছে যোগসাজস। কেননা, প্রতি বছর জ্বালানির দাম বাড়ানো হয় মালিকদের স্বার্থে। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। সেবার মানের কোনো পরিবর্তন হয় না।
 
খলিলুর রহমান খান বলেন, দেশে চরম অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট চলছে। যা সৃষ্টি হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কারণে। এদের কারণেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে না।
 
তিনি বলেন, সরকার ভাড়া বাড়িয়েছে কিন্তু পরিবহন খাতে সেবার কোনো পরিবর্তন নেই। একদিকে যেমন সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, তেমনি বেশি ভাড়া দিয়েও মানুষের ভোগান্তি কমছে না।
 
বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে ভাড়াও বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। অথচ সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। সেবার মানও বাড়েনি। কেননা, সরকার মালিকদের স্বার্থই রক্ষা করছে।
 
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকার যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে তা কেউ মানে না। প্রতিটি লোকাল সার্ভিসেই বেশি ভাড়া আদায় করা হয়। আবার সিটিং সার্ভিসের ভাড়া আরও বেশি। অথচ সরকার ভাড়া বাড়িয়েই তার দায়িত্ব শেষ করেছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
 
সংগঠনের প্রচার সম্পাদক প্রকাশ দত্ত বলেন, সিটিং সার্ভিসের জন্য আলাদা কোনো ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়নি সরকার। অথচ গুলিস্তান থেকে শাহবাগে গেলে সিটিং সার্ভিসগুলো ১০ টাকা ভাড়া নেয়। এই সিটিং সার্ভিসের নামে দেশে অরাজকতা চলছে।
 
বক্তারা আরও বলেন, দেশের সাধারণ শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষের জন্য সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না। সরকার সিদ্ধান্ত নেয় মালিকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে। তাই দেশে মেহনতি মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
 
ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে ও প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও শিক্ষার্থীদের ন্যায় সঙ্গত দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বানে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৫
ইইউডি/এসএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।