ঢাকা: বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আইএস’র কোনো সাংগঠনিক অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
একে এম শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশে আইএস’র কোনো সাংগঠনিক অস্তিত্ব নেই। ব্যক্তিগতভাবে কেউ তাদের আর্দশে বিশ্বাসী হতেও পারে। তবে আমরা এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হতে দেব না। শক্ত হাতে দৃঢ়তার সঙ্গে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হবে। দেশকে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দেওয়া হবে।
আইজিপি বলেন, অতীতে জঙ্গিবাদ, চরমপন্থী, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে। দেশে জেএমবি, হুজিসহ ভিন্ন নামে জঙ্গিবাদের উত্থান যাতে না ঘটে, সে জন্য জঙ্গিদের অপতৎপরতার ব্যাপারে সর্তক ও সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ইতালি ও জাপানের দুই নাগরিক হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করা হবে। খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি (স্পেশাল ক্রাইম অ্যান্ড প্রসিকিউশন) মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিগত প্রান্তিকের (তিন মাস) সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। দেশব্যাপী অপহরণ, খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র উদ্ধার, মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
অপরাধ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত প্রান্তিকের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে মোট মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পুলিশ কর্তৃক বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের পরিমাণ বেড়েছে। পুলিশের কার্যকর ভূমিকার ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার হয়েছে। তবে দস্যুতা, খুন এবং ধর্ষণ মামলা কিছুটা বেড়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সিআইডি’র অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (এডমিন অ্যান্ড অপস) মো. মোখলেসুর রহমান, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপি (ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. আবুল কাশেম, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
এনএ/আরএম