ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় ৬১৬ মণ্ডপে দুর্গাপূজা, প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
বগুড়ায় ৬১৬ মণ্ডপে দুর্গাপূজা, প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছবি: আরিফ জাহান /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: এবার বগুড়ার ১২টি উপজেলায় মোট ৬১৬টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বোবৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। গেল বছর এ জেলায় ৫৯৮টি মণ্ডপে এ পূজা হয়েছিল।


 
এদিকে এ উৎসবকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পোশাকধারী র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে থাকবে।
 
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামানো হচ্ছে বিপুল পরিমান আনসার সদস্য। র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি তারা প্রত্যেক পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।  
 
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
 
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সদর উপজেলায় এ বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক ১০১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপরে রয়েছে শেরপুর উপজেলার স্থান। এ উপজেলায় ৭৯টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। এছাড়া আদমদীঘিতে ৬৮টি, গাবতলীতে ৬৫টি, নন্দীগ্রামে ৫১টি, শাজাহানপুর ও শিবগঞ্জে ৪৯টি করে, কাহালুতে ৩৮টি, দুপচাঁচিয়ায় ৩৭টি, সোনাতলায় ৩৫টি, ধুনটে ২৫টি ও সারিয়াকান্দিতে ১৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
 
শেরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি নিমাই ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে মণ্ডপে প্রতিমা আরোহন করানো হবে। মূলত তখন থেকেই শারদীয় দুর্গোৎসব ‍শুরু হবে। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
 
র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দুর্গাপূজাকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া র‌্যাবের গোয়েন্দা ইউনিটগুলো সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে।
 
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি, বি-সার্কেল) গাজিউর রহমান জানান, শারদীয় দুর্গাপূজায় জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যে প্রত্যেক উপজেলার থানা পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। গোটা জেলায় সাদা পোশাকে বিপুল পরিমান গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে কাজ করবে।
 
এছাড়া প্রত্যেক পূজা মণ্ডপে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমপক্ষে পাঁচ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করার কথা রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
এমবিএইচ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।