ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলানিউজকে প্রতিমন্ত্রী

৩০ টাকায় অপারেটর বদলের সুযোগ

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
৩০ টাকায় অপারেটর বদলের সুযোগ ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম

ঢাকা: নম্বর অপরিবর্তিত রেখে মোবাইল অপারেটর পরিবর্তনের (এমএনপি) সুযোগ দ্রুতই পাচ্ছেন গ্রাহকরা। মাত্র ৩০ টাকায় ভিন্ন অপারেটরে চলে গিয়ে সে অপারেটরের সেবা গ্রহণ করা যাবে।


 
বাংলানিউজকে এমনটাই জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
 
প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদনের পর তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন হলে যথা শিগগিরই ওপেন দরপত্র আহ্বান করা হবে।
 
গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলানোর সুযোগ করে দিতে এ সংক্রান্ত নীতিমালা সম্প্রতি অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
 
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ওপেন টেন্ডারে দেশি-বিদেশি যে কোনো প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে। তবে আমাদের মোবাইল অপারেটররা অংশ নিতে পারবে না।
 
কত দিনের মধ্যে গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন- জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর দরপত্র আহ্বান এবং সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে দরপত্র যাবে। যেহেতু টাওয়ারসহ অন্যান্য অবকাঠামো আছে, সুতরাং খুব দ্রুত ও সহজে চালু করতে পারবো।

এমএনপি চালু হলে গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন কানেকটিভিটির মধ্যে থাকবেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তখন সেবার মান বাড়াতে অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও তৈরি হবে। এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, অন্যদিকে গ্রাহকরা বেস্ট প্রাইজের সুফল পাবেন।
 
নম্বর অপরিবর্তিত রেখে ৩০ টাকায় গ্রাহকরা ৪০ দিন অন্য অপারেটরের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানান তারানা হালিম। তিনি বলেন, এর মধ্যে আবার আগের অপারেটরে আসতে হলে নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
 
নীতিমালা অনুমোদনের পর প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের শুরুতেই গ্রাহকরা এমএনপি সুবিধা পাবেন।
 
টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানায়, এমএনপি সুবিধা চালু করতে অপারেটর হিসেবে বিটিআরসি একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেবে। এজন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে।

নম্বর না বদলে গ্রাহকদের অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২০১৩ সালের জুন মাসে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। সংস্থাটি জানায়, অপারেটরদের টু-জি লাইসেন্স নবায়নের সময় গাইড-লাইনে অপারেটররা মিলে এমএনপি চালু করবে বলে লেখা ছিল। কিন্তু অপারেটররা সঠিক সময়ে এমএনপি চালু করতে পারেনি।
 
এরপর বিটিআরসি একটি নতুন গাইড-লাইন তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। অনুমোদনের পর দরপত্র ও লাইসেন্স এবং লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান বিষয়টি অপারেট করবে।
 
নির্দেশনা জারির তিন মাসের মধ্যে অপারেটরদের এমএনপি সেবা শুরু করার জন্য একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করে প্রি-পেইড, পোস্ট পেইড উভয় ধরনের গ্রাহককেই এই সুবিধা দেওয়ার কথা।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও বর্তমানে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দেশে এমএনপি সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহকরা। বিভিন্ন অপারেটরের অফারে একজন গ্রাহক এক অপারেটর ছেড়ে প্রায় সময়ে অন্য অপারেটরে চলে যান। এতে গ্রাহকদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। এছাড়া দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে একটি মোবাইল নম্বর ব্যবহারকারীর পরিচয়ের মাধ্যম হিসাবে রূপ নেয়। এ অবস্থায় গ্রাহকের জন্য এই সেবা চালু করতে অপারেটরদের নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি।
 
গ্রাহক পর্যায়ে এমএনপি সেবা পাওয়ার অগ্রগতি তুলে ধরতে সচিবালয়ে বুধবার (০৭ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৫
এমআইএইচ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।