ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জেলা পরিষদের অর্থ আত্মসাৎ

৭০ জনের বিরুদ্ধে ১৫ মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
৭০ জনের বিরুদ্ধে ১৫ মামলা

ঢাকা: ঢাকা জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী, বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার( ১২ অক্টোবর) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভার, কেরানীগঞ্জ, ধামরাই এবং রাজধানীর কোতোয়ালি, গুলশান ও তেজগাঁও থানায় মামলাগুলো করা হয়।



দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান কার্যালয়ের দুই সহকারী পরিচালক শেখ আবদুস সালাম ও আবুবকর সিদ্দিক ৫টি করে মামলা করেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জাকির হায়দার, মো. আসাদুজ্জামান, এটিএম মিজানুর রহমান, হারুণ অর রশীদ দেওয়ান, এম এ ফারুক লস্কর, মো. নুরুন্নবী পাঠান, হিসাবরক্ষক মো, গোলাম মোস্তফা, উচ্চমান সহকারী মো. রিয়াজত উল্লাহ, নিম্নমান সহকারী মো. তৌহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মফিজুর রহমান।

ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে আসামি হয়েছেন-সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র নির্বাহী অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের জয়পাড়া শাখার ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান, জনতা ব্যাংক সাভার শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন মিয়া, ব্যাংক এশিয়ার জুনিয়র অফিসার মনোয়ারা লাবণী, সোনালী ব্যাংকের ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল হল শাখার সিনিয়র অফিসার জসিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কেরানীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ, সিনিয়র অফিসার মো. জিয়াউল হক খান, একই শাখার কর্মকর্তা হারাধন সরকার, রুপালী ব্যাংকের শিকারপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুজ্জামান, আব্দুল হালিম মিয়া ও সিনিয়র অফিসার আবদুস সালাম। এছাড়া স্থানীয় ৫৬ জন রয়েছেন আসামির তালিকায়।

মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়- ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে জেলা পরিষদের প্রকল্পগুলোর মধ্য থেকে ১৫টি ভুয়া ও অস্তিত্বহীন প্রকল্পের বিপরীতে ওই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত রেকর্ড ও নথিপত্র নষ্ট করে ফেলা হয়। এটা অপরাধজনিত বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, জালিয়াতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের শামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
এডিএ/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।