ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

১৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের বরইতলা গণহত্যা দিবস

টিটু দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
১৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের বরইতলা গণহত্যা দিবস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কিশোরগঞ্জ: ১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের বরইতলা গণহত্যা দিবস। এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বর্বরোচিত ও নৃশংস নারকীয় হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল কিশোরগঞ্জের বরইতলা নামক স্থানে।



এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী দেশীয় রাজাকারদের সহায়তায় ৩৬৫ জন বাঙালিকে একত্রে জড়ো করে নির্বিচারে হত্যা করেছিল।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার দূরে যশোদল ও কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষে বরইতলা নামক স্থানে রেললাইনের পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ।

১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর পাকসেনা ও তাদের দোসরদের গুলি ও বেয়নেটের আঘাতে দামপাড়া, চিকনীরচর, কালিকাবাড়ি, তিলকনাথপুর ও গোবিন্দপুর গ্রামের নিরপরাধ মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছিল তারই জ্বলন্ত এক প্রতিবাদ এই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। এই ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন বাবা আবার কেউ বা পরিবারের সবাইকে।

এলাকাটি মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ির অংশ হওয়ায় পাক হানাদার ও তাদের দোসরদের ওই এলাকা বিশেষ টার্গেট ছিল। ১৩ অক্টোবর স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় ৩৬৫ জন গ্রামবাসীকে প্রথমে বরইতলা মাঠে জমায়েত করে। পরে রেল লাইনের পাশে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় শহীদ হয় ৩৬৫ জন নিরীহ গ্রামবাসী।

স্বাধীনতার এত বছর পরও বরইতলা গণহত্যার বিচার হয়নি। এমনকি যে সব রাজাকার আলবদররা এ গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তারা এখনও প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী ঘাতকদের বিচার দাবি করেছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের পক্ষ থেকে জীবিত রাজাকারদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।