ঢাকা: সত্তর দশকের শক্তিমান কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজের ৬০তম জন্মবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর)। রোম্যান্টিক ভাবনার এ কবি ১৯৫৫ সালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার এলাহিনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। দৈনিক বাংলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিক জীবনের সূচনা। কাজ করেছেন কলকাতার সাপ্তাহিক দেশ (বর্তমানে পাক্ষিক), দৈনিক জনকণ্ঠ, বৈশাখী টেলিভিশন ও দৈনিক আমার দেশের সঙ্গে।
হাসান হাফিজের লেখা মৌলিক ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৩০। এর মধ্যে কাব্যগ্রন্থ ৪৫টি, একটি কবিতার বই বের করেছে কলকাতার ‘সাংস্কৃতিক খবর’। তার কবিতা অনূদিত হয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, হিন্দি, উর্দু, আরবি ও ফার্সি ভাষায়।
সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, ডাকসু সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, কলকাতার সৌহার্দ্য কবিতা উৎসব সম্মাননা, জাতীয় প্রেসক্লাব লেখক সম্মাননা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি লেখক সম্মাননা ইত্যাদি।
হাসান হাফিজ জাতিসংঘ স্বীকৃত সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের (এফইজেবি) সাধারণ সম্পাদক, বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য। তার ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে লিটল ম্যাগাজিন ‘দাগ’ (কবি মিজানুর রহমান বেলাল সম্পাদিত) একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করছে।
হাসান হাফিজের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে ভালোবাসা, তার ভাষা, তুমি বধূ অবিবাহের, সকল ডুবুরি নয় সমান সন্ধিত্সু, হাসান হাফিজের প্রেমের কবিতা, ভালোবাসার অগ্নিচুমুক, না ওড়ে না পোড়ে প্রেম, দূরে পাহাড়ের ঘুম ইত্যাদি পাঠকপ্রিয়তা পেযেছে। নব্বইয়ের দশকে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হাসান হাফিজের কার্ডে প্রেমের কবিতা বিপুল পাঠকপ্রিয়তা পায়। তার কবিতায় প্রেম ও প্রকৃতি যেন এক হয়ে মিশে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
এএ