ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ফিরে আসা ৯৭ বাংলাদেশি বাড়ির পথে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
ফিরে আসা ৯৭ বাংলাদেশি বাড়ির পথে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার: মায়ানমার থেকে ষষ্ঠ দফায় ফেরত আসা ১০৩ জন বাংলাদেশির মধ্যে ৯৭ জন বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে। ‍

বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে তারা বাড়ির পথে রওনা দেন।



ফেরত আনা ১০৩ জনের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৬জনকে আদালতের নির্দেশনায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার জেলা ইউনিটের জিম্মায় রেখে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এদিকে ফেরত আসা ১০৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ১৮ জেলার ১০৩ জন দালালের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলায় রয়েছে ২৮ জন দালাল।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিষয়ে নির্দেশনা জানতে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক অরুণ পাল এই আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশনায় মঙ্গলবার রাতেই এই ৬জনকে নিয়ে তাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়।

সোমবার মায়ানমারে এক পতাকা বৈঠক শেষে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ১০৩ জনকে ফেরত নিয়ে আসে বাংলাদেশের ২১ জনের একটি প্রতিনিধি দল।

কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা বাংলানিউজকে জানান, মায়ানমার থেকে ১০৩ জনকে ফেরত আনার পর তাদের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রাখা হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ১৮ জেলার ১০৩ জন দালালের পরিচয় শনাক্ত করেছে। তার মধ্যে কক্সবাজার জেলার ২৮ জন দালাল রয়েছে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের আইওএম এর সহায়তায় নিজ নিজ জিন্মায় বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার সকালে তারা বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, ১৮ জেলার স্ব-স্ব থানায় ১০৩ দালালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। ইতোপূর্বে যেসব দালালের পরিচয় শনাক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর বাংলানিউজকে জানান, ফেরত আনা ১০৩ জনের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ৯৭ জনকে নিজ জিম্মায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদের বাড়ি পৌঁছানোর জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থাও করেছে আইওএম।

বুধবার সকালে তারা বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে। এর আগে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৬জনকে আদালতের নির্দেশনায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার জেলা ইউনিটের জিম্মায় অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ৮ ও ১৯ জুন, ২২ জুলাই, ১০ ও ২৫ আগস্ট ৫ দফায় শনাক্ত হওয়া ৬২৬ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়। ২১ মে ২০৮ জন ও ২৯ মে ৭২৭ জন অভিবাসি প্রত্যাশীকে মায়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার করেছিল সে দেশের নৌ বাহিনী। এরপর বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করা তালিকা নিয়ে কাজ করে উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই তালিকায় শনাক্ত হওয়া বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে ফেরত আনা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মায়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত হওয়া ষষ্ঠবারের মতো ১০৩ জন বাংলাদেশিসহ সর্বমোট ফেরত আনা হয় ৭২৯ জনকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।