ঢাকা: পীর, ফকির ও মাজারের সেবকদের হত্যার মিশনে নেমেছিলো খিজির খান হত্যার ঘটনায় আটককৃত আসামিরা।
দুই বছর ধরে তারা দেশের বিভিন্ন পীর ফকিরদের তালিকা তৈরি করে আসছিলো এবং এই তালিকা ধরেই তারা হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করছিলো বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) টাঙ্গাইলে ও রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালিয়ে প্রকৌশলী খিজির খান হত্যার ২ আসামিকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক ওরফে মিঠু ও মো. আলেক বেপারী।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান তিনি।
যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল জেলা থেকে হত্যাকারীদের দলের নেতা মো. তরিকুল ইসলামকে এবং রাজধানীর মিরপুর থেকে আলেক বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে হত্যাকাণ্ডের সময় লুট করা দু’টি ল্যাপটপ ও দু’টি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত মো.তরিকুল ইসলাম তারেক জেএমবি’র অন্যতম একজন সংগঠক। ২০০৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা মামলায় চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়ে ৫ বছর কারাভোগও করে এই আসামি। পরে জামিনে বের হয় সে। অপর আসামি আলেক বেপারী পেশায় একজন ড্রাইভার। সে দুর্বৃত্ত দলের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। হত্যাকাণ্ডের দিন আলেক বেপারীর গাড়িতে করে ৪ ঘাতক ঘটনাস্থলে আসে। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৮ জন সদস্য ছিলো বলে আমরা জানতে পারি। হত্যাকারীদের গাড়িতে করে আনা নেওয়ার বিষয়ে আলেক বেপারী সহযোগিতা করেছে।
মনিরুল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। মতাদর্শগত কারণে প্রকৌশলী খিজির খানকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা,অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এসজেএ/আরআই