ঢাকা: সহকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওই নারী চিকিৎসক স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাসুদ ইকবালের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন।
এরই মধ্যে মাসুদের বিচার চেয়ে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল ৪ মামলা করেছেন ওই নারী চিকিৎসক।
এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-১ শাখা থেকে ডা. মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা বলা হয়েছে। তবে গ্রেফতার হওয়ার পরই তার বরখাস্ত কার্যকর হবে।
চলতি বছরের ১ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা) সুভাষ চন্দ্র সরকার স্বাক্ষরিত নথিতে বলা হয়, ডা. মাসুদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, আদালত-৪ এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জুন আদালত মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে। বাংলাদেশ সার্ভিস রুল অনুযায়ী ফৌজদারী অভিযোগে গ্রেফতার বা আদালতের হেফাজতের তারিখ থেকে সাময়িক বরখাস্ত বলে বিবেচিত হবেন।
তবে আদালত অভিযোগ গঠনের পরও মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত না করায় বাদী চিকিৎসক মামলা ক্ষতিগ্রস্ত এবং নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে অভিযুক্ত চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বরাবর আবেদন করেন তিনি।
আবেদনে বলা হয়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের ডা. মাসুদ ইকবালের বিরুদ্ধে মামলাটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল ৪ এ বিচারাধীন। ইতোমধ্যে চার্জশিট ও চার্জ ফ্রেম গঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে মাসুদ ১০ দিনের ছুটি নিয়ে আমেরিকার কথা বলে কানাডায় অবস্থান করছেন বেশ কয়েকদিন ধরে।
ওই নারী চিকিৎসক বলেন, প্রমাণসহ সব তথ্য দিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মামলা চলাকালীন ডা. মাসুদ ইকবালকে চার্জশিট ও চার্জফ্রেম হওয়ার পরেও বরখাস্ত না করা হলে মামলাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এমএন/পিসি