রাজশাহী: কয়েকদিন পরেই শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। তাই রাজশাহী মহানগরী জুড়ে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
ধুপ, ধুনুচি আর ঢাকের তালে ক’দিন পরেই মেতে উঠবে রাজশাহী। ইতোমধ্যে দুর্গোৎসব সামনে রেখে মণ্ডপ সাজানো ও নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি অনিল কুমার সরকার জানান, এবার রাজশাহীতে ৪০২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় রয়েছে ৬৭টি। যার মধ্যে মহানগরীর বোয়ালিয়ায় ৪৪টি, রাজপাড়ায় ১০টি, শাহ মখদুম এলাকায় ৭টি ও মতিহারে ৬টি। তাই সব মণ্ডপেই এখন প্রস্তুতি চলছে। দুর্গোৎসব সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে প্রতিমা ও প্রত্যেকটির বিভিন্ন অনুষঙ্গ তৈরি, নিখুঁতভাবে কাজ ফুটিয়ে তোলা এবং রঙের কাজে ব্যস্ত সময় কাটছে প্রতিমা শিল্পীদের।
আলুপট্টির প্রতিমা নির্মাতা কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, আষাঢ়ের ৯ তারিখ থেকে তারা প্রতিমা তৈরি শুরু করছেন, কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু প্রতিমাগুলোর নকশা ঠিক করা হচ্ছে। আগামী দু’দিনের মধ্যেই দুর্গা প্রতিমাগুলোতে চূড়ান্ত রং লাগিয়ে পোশাক পরিচ্ছদে সুসজ্জিত করা হবে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন জানান, আগামী ১৮ অক্টোবর ষষ্টিপূজার মধ্যদিয়ে এবার শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। পরদিন ১৯ অক্টোবর সপ্তমী, ২০ অক্টোবর অষ্টমী, ২১ অক্টোবর নবমী, ২২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে পাঁচদিনের উৎসব।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার সরদার তমিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, শারদীয় দুর্গা পূজা সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য এবার তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থ নেওয়া হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে। পূজা শুরুর প্রথম দিন থেকে প্রতিমা বিসর্জনের দিন পর্যন্ত পুলিশ সর্তক অবস্থায় থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এসএস/এএ